Musk Meet Iranian Ambassador: ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করলেন ইলন মাস্ক! ট্রাম্পের জয়ের পর পশ্চিম এশিয়ায় ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
সম্প্রতি মার্কিন মিডিয়ার এক দাবি বিশ্বজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে ইলন মাস্ক এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ ইরাভানির মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আমেরিকায় নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর থেকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে ট্রাম্পের বিদেশনীতির দিকে। একদিকে চলছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং অপরদিকে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বললেও ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পুরো পশ্চিম এশিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এর কারণ হিজবুল্লাহ ও হামাসের প্রতি ইরানের প্রকাশ্য সমর্থন। এ কারণে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে। ইরান ও ইজরায়েল একে অপরের উপর হামলা চালাচ্ছে।
ঝলসে মৃত্যু ১০ সদ্যজাতর! বুক ফাটা কান্না, হাহাকার, গুরুতর আহত আরও ১৬
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন মিডিয়া দাবি করেছে ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক এবং রাষ্ট্রসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম দাবি করেছে, আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে ইলন মাস্ক এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ ইরাভানির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তবে এখন পর্যন্ত ইলন মাস্ক এবং ইরান সরকারের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি বৈঠকে কথা অস্বীকারও করা হয়নি।
জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে কথোপকথনের সময় মাস্ক উপস্থিত ছিলেন
ইলন মাস্ক আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খুব ঘনিষ্ঠ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যখন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তখনও ইলন মাস্ক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক ছিল না। ট্রাম্প ইরানের পরমাণু নীতির তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, যা ইরানের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে ইরান। সম্প্রতি মার্কিন পুলিশের এক তদন্ত প্রতিবেদনে ট্রাম্পের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পেছনে ইরানের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন, যা ইরান ভাল চোখে দেখেনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্প পশ্চিম এশিয়া নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতে ইজরায়েলের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখবেন। একই সময়ে, ইরানের নীতি ঠিক বিপরীত কারণ ইরান হামাস ও হিজবুল্লাহর পাশে দাঁড়িয়েছে।
গুজরাটের বিস্তৃর্ণ অংশে প্রবল কম্পন! অতীতের স্মৃতি ফিরতেই আতঙ্কে ঘরছাড়া মানুষ
ট্রাম্প সম্প্রতি মাইক হাকাবিকে ইজরায়েলে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন যিনি ইজরায়েলের অন্যতম বড় সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছেন স্টিভেন সি উইটকফ, যিনি একজন বড় ব্যবসায়ী নেতা। এই দুটি বিষয় থেকে এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য অর্থাৎ পশ্চিম এশিয়ার অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই বিদেশ নীতি নির্ধারণ করতে পারেন।
ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইলন মাস্কের বৈঠক একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে
ট্রাম্পের জয়ের পরপরই ইজরায়েল আমেরিকায় তাদের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে। ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ কারোর কাছেই গোপন নয়। স্পষ্টতই ইলন মাস্ক এবং রাষ্ট্রসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে বৈঠকের দিকেও ইজরায়েল নজর রাখবে। যদিও ইলন মাস্ক এবং ইরানের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সাথে ইলন মাস্কের হঠাৎ করে এই বৈঠক পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে নিশ্চিতভাবেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এখন দেখার বিষয় আমেরিকা ইজরায়েল-হামাস, ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ এবং ইজরায়েল-ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে নাকি আগের চেয়ে খোলাখুলিভাবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াবে।