Advertisment

আইএনএক্স মিডিয়া মামলা: সিবিআই নজরে নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও

'সরকারি আধিকারিকদের অনুমোদনেই ফাইলে শেষ সাক্ষর করেছিলেন তিনি। তাই মোদী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে।' অভিযোগ পি চিদাম্বরমের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sindhushree Khullar

নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও সিন্ধুশ্রী খুল্লার

আইএনএক্স মিডিয়া তদন্তে অর্থমন্ত্রকের তৎকালীন চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এই অনুমতি দেয় মোদী সরকার। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন, নীতি আযোগের প্রাক্তন সিইও সিন্ধুশ্রী খুল্লারও। ২০০৪ থেকে ০৮ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পদে দায়িত্বে ছিলেন খুল্লার। ২০১৫সালে নীতি আয়োগের সিইও পদের দায়িত্ব পান ১৯৭৫ সালে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের এই আইএস অফিসার। সিবিআইয়ের দাবি সিন্ধুশ্রী খুল্লারের সময়কালেই আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতির ঘটনা ঘটে।

Advertisment

সিন্ধুশ্রী খুল্লার ছাড়াও অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন, ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রকের তৎকালীন সচিব কে পুজারি, অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন নির্দেশক প্রবোধ সাক্সেনা ও অর্থবিষয়ক কাজে প্রাক্তন আন্ডার সেক্রেটারি রবীন্দ্র প্রসাদ।

আরও পড়ুন: ‘দেশের চেয়ে কুর্শি বড়?’ কাশ্মীর ইস্যুতে মমতার কাছে প্রশ্ন নাড্ডার

গত ২১ আগস্ট আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করেন নীতি আযোগের প্রাক্তন সিইও সিন্ধুশ্রী খুল্লার। তারপরই প্রকাশ্যে এল কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।

জেলে বসেই চিদাম্বরম ট্যুইটে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আইএনএক্স মামলায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ প্রমোশনাল বোর্ডও অর্থমন্ত্রকের তৎকালীন আধিকারিকরা।' সবদিক খতিয়ে দেখে সরকারি আধিকারিকদের অনুমোদনেই ফাইলে শেষ সাক্ষর করেছিলেন তিনি। চিদাম্বরমের অভিযোগ সেই কারণেই তাঁকে মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ডাক যোগাযোগ বন্ধ করল পাকিস্তান

৩৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল মাক্সিস চুক্তি এবং ৩০৫ কোটি টাকার আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ভূমিকা তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে ছিল। এ দুটি ঘটনাই ঘটে ইউপিএ ১ আমলে, যখন চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২০১৭ সালের ১৫ মে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। সেখানে বলা হয়েছিল ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা ফান্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যাপারে নিয়ম মানা হয়নি। এর পর গত বছর ইডি এ ব্যাপারে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা রুজু করে।

গ্রেফতার করা হয় কার্তি চিদাম্বরমকে। পরে, জামিনে মুক্ত হন তিনি। এরপরই চলতি বছরে তদন্তে গতি বাড়ায় সিবিআই ও ইডি। বহু নাটকের পর গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে।

Read the full story in English

P Chidambaram national news
Advertisment