দিল্লির রাস্তায় তাণ্ডবলীলার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই ১০ কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। ২০০ জনের বেশি আটক। কোনও অপরাধীকে যে দিল্লি পুলিশ ছাড়বে না ও কৃষক নেতারা যে নিজেদের দায় এড়াতে পারেন না, প্রেস কনফারেন্স করে সেই কথা বললেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার। স্বাভাবিকভাবেই চাপে কৃষক সংগঠনগুলি।
প্রতিবাদ থেকে সরে এসেছে রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ান (ভানু)। আন্দোলনের পথ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবারের হামলার নিন্দা করেছে এই দুই কৃষক সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে জেদ ছেড়ে কৃষকদের বাজেটের দিন সংসদ অভিযানের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটাও বাতিল করেছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চা।
প্রতিবাদকারী কৃষক সংগঠনগুলোর মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে যে আন্দোলন চলবে কিন্তু পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেটের দিন সংসদ অভিযানের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা বাতিল করা হচ্ছে। পরিবর্তে ৩০ জানুয়ারি জনসভা সংগঠিত করবে কষকরা। একদিনের উপবাসও করবে চাষীরা।
কৃষক নেতাদের অনেকের দাবি যে, হিংসার নেপথ্যে সরকারের কলকাঠি দায়ী। তবে এতকিছুর পরও ৯৯.৯৯ শতাংশ কৃষক শান্তিপূর্ণ পথেই ছিলেন বলে তাদের দাবি কৃষক নেতৃত্বের। কেন পঞ্জাব কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যদের পুলিশ আটকালো না, সেই প্রশ্ন করেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা বলবীর রাজেওয়াল।
এদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে তাণ্ডবের পর আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত লালকেল্লা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন