বাংলাদেশি মহিলাকে পাচার করে এনে গণধর্ষণ! তারপর সেই নির্যাতনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, মহিলাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তারপর গণধর্ষণ করে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসামে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই সূত্র ধরে এদিন পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, টাকার জন্য তরুণীকে নির্যাতন করা হয়। পাচার করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয় নির্যাতিতাকে। গত সপ্তাহে এই পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় তরুণীর উপর। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ টুইট করে অপরাধীদের ধরতে পুরষ্কার ঘোষণা করে। আসাম পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের ভিডিও করে সেটা আসামে কিছু সঙ্গীদের পাঠায় অভিযুক্তরা। তারপর উত্তর-পূর্ব ভারতে সেটা ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন পিঠে গ্যাস বেলুন বেঁধে ‘পোষ্য কুকুর’কে নির্যাতন, গ্রেফতার ইউটিউবার
এরপর মূল অভিযুক্তের ফোন নম্বর ট্র্যাক করে বেঙ্গালুরু পুলিশকে জানানো হয় আসাম পুলিশের তরফে। এরপর বেঙ্গালুরু পুলিশের বিশেষ টিম বৃহস্পতিবার সন্ধেয় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। রামামূর্তি নগর এলাকায় এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই শ্রমিকের কাজ করে। এরপর তাদের জেরা করে নির্যাতিতা তরুণীর খোঁজ চালাতে শুরু করে পুলিশ। পাশের রাজ্যে তাঁকে পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান।
আরও পড়ুন টিকা না নিলে বন্ধ বেতন, কর্মীদের হুঁশিয়ারি ছত্তিশগড়ের উপজাতি দফতরের
অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন আবার গ্রেফতারির ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশের গুলি পায়ে লেগে গুরুতর জখম হয় তারা। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দুজনকে। ঘটনা প্রসঙ্গে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইট করে বেঙ্গালুরু পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন