ভোটের মুখে ফের পিছোল সময়সীমা, এখনই কার্যকর হচ্ছে না CAA

নাগরিকত্ব আইন কার্যকর পিছিয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়বে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে।

নাগরিকত্ব আইন কার্যকর পিছিয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়বে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update

ফের পিছোল সময়সীমা, এখনই কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছে, রুল তৈরি করতে আরও তিন মাস সময় লাগবে। আগেই কোভিডের কারণে এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর। এবার বাংলা-তামিলনাড়ু-কেরলের ভোটের মুখে আইন কার্যকর ফের পিছোল। কেন্দ্রের আর্জি সংসদের দুই কক্ষের সংসদীয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।

Advertisment

লোকসভা কমিটি সরকারকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে আইন কার্যকর করার। যেখানে রাজ্যসভার কমিটি সময়সীমা ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গত বছর ১০ জানুয়ারি আইন পাশ হয়ে যাওয়ার পরও এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে, সিএএ কার্যকর হয়নি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, রুল এখনও গঠন হয়নি। তাই দেরি হচ্ছে। এনআরসি নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন NRC নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, সংসদে জানাল কেন্দ্র

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, সিএএ-র পরেই এনআরসি হবে দেশে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় উৎপীড়ণের শিকার হিন্দু, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ভারতীয়দের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে সিএএ-তে। আর ভারতে বসবাসকারী অবৈধ শরণার্থীদের চিহ্নিত করার জন্য এনআরসি।

Advertisment

এদিকে, নাগরিকত্ব আইন কার্যকর পিছিয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়বে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে। কিছুদিন আগে ঠাকুরনগরে মতুয়াগড়ে সভা করার কথা ছিল অমিত শাহর। কিন্তু দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে তিনি আসতে পারেননি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়ারা শুধু নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরকারের মনোভাব জানতে এসেছিলেন সেখানে। সভা বাতিল হওয়ায় স্বভাবতই হতাশ হন তাঁরা। ঠাকুরবাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পরে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে শাহ আশ্বস্ত করেন, শীঘ্রই তিনি আসবেন সভা করতে।

আরও পড়ুন সংসদে কৃষি আইনে আলোচনায় ‘না’, প্রতিবাদে ওয়াক আউট বিরোধীদের

বাংলার প্রায় ৩০টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আইন কার্যকর করার দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছেন খোদ শান্তনুও। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর করতে বিজেপির উপর চাপ তৈরি করেছেন তাঁরা। কিন্তু আইন কার্যকর ফের পিছিয়ে যাওয়ায় মতুয়ারা বেঁকে বসতে পারেন বলে আশঙ্কা।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp nrc caa