এনআরসি আসতে চলেছে, দেশ জুড়ে মসজিদ থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বার্তা
হায়দরাবাদ থেকে কলকাতা, মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু, সর্বত্র মসজিদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠন, আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা অভিযান চলছে। দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বার্তা।
হায়দরাবাদ থেকে কলকাতা, মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু, সর্বত্র মসজিদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠন, আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা অভিযান চলছে। দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বার্তা।
অমিত শাহের আশ্বাসেও চিঁড়ে ভিজছে না। বিশেষ নির্দেশ মসজিদগুলির।
দেশজুড়ে হবে এনআরসি। আইনে পরিণত হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশ্বাস, ভারতীয় মুসলমানদের এতে ভয়ের কিছু নেই। তবুও আশঙ্কায় সংখ্যালঘুরা। নথি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সঠিক রাখার জন্য প্রতি শুক্রবার নমাজ শেষে সতর্ক করা হচ্ছে মসজিদের তরফে। এমনকী এই সহায়তার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের তরফে শিবিরও চালু করা হয়েছে। সতর্কতামুলক নির্দেশ সোশাল মিডিয়াতেও ছাড়া হয়েছে। নাগরিকত্বের বিভিন্ন নথিতে যাতে তথ্য একই থাকে সে জন্য 'গাইডবুক'ও বিতরণ করা হয়েছে।
হায়দরাবাদ থেকে কলকাতা, মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু, সর্বত্র মসজিদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠন, আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা অভিযান চালানো হচ্ছে। আসামে এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম। শিবিরের উদ্যোক্তাদের দাবি, নথিতে ভুল থাকার কারণে তালিকা থেকে বহু মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিুয়েই এই আয়োজন। বেঙ্গালুরুর জামিয়া মিলিয়া মসজিদের ইমাম ইমরান মাসুদ বলেন, 'গত তিন মাস ধরেই আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের নথিতে থাকা ভুল ঠিক করার কথা বলে আসছি।'
Advertisment
কর্নাটকে প্রায় ১,৮০০ মসজিদ রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারের নমাজ শেষে প্রতিটি মসজিদের তরফে পূণ্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। শহরের ফ্রেজার ঠাউন এলাকার এক মসজিদের সম্পাদক সুহেল আহমেদ বলেন, 'প্যান ও আধার কার্ড যেসব মুসলিমদের নেই তাদের এই ধরনের শিবিরের মাধ্যমে পরিচয়পত্র করে দেওয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬ হাজার ফর্ম বিতরণ করা হয়েছে।' একই সঙ্গে অকারণ হয়রানি কমাতে সবাইকে তাদের সার্ভিস রেকর্ড রাখতে বলা হয়েছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এনআরসি লাগুর কথা স্পষ্ট করতেই তৎপরতা আরও বেড়েছে।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, দক্ষিণ মুম্বইয়ের নানা জায়গায় এই ধরনের শিবির করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। হায়দরাবাদেও এক দল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজ করে চলেছে। বাংলাতেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, বাংলায় এই নয়া আইন ও এনআরসি করা লাগু করা যাবে না। তবে তাঁরও বার্তা, 'পরিচয়পত্রের নথি সঠিকভাবে রাখতে হবে। হারিয়ে গেলে তা পুলিশকে জানাতে হবে ও নতুন করে আবেদন করতে হবে। নিজেদের স্বার্থেই এই কাজ করতে হবে।'