Ghaziabad: মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর-নিগ্রহের ঘটনায় এবার টুইটার, কংগ্রেস নেতা ও দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল যোগীর পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টুইটারের বিরুদ্ধে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেই খবরে সাম্প্রদায়িক রং দেয় শেয়ার করার অভিযোগে সাংবাদিক মহম্মদ জুবের এবং রানা আয়ুব, কংগ্রেসের সলমান নিজামি, শমা মহম্মদ, মাসকুর উসমানি, লেখিকা সাবা নাকভি, দ্য ওয়্যার পোর্টাল এবং টুইটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
গাজিয়াবাদ পুলিশ এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (দাঙ্গায় উস্কানি), ১৫৩এ (দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসায় উস্কানি), ২৯৫এ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত), ৫০৫ (অপরাধ), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে।
আরও পড়ুন টিকা নিতে চাইছে না মুসলিমরা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবদুল সামাদ সাইফি নামে ওই বৃদ্ধকে অটোরিকশায় করে পৌঁছে দেওয়ার অছিলায় নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়, জয় শ্রীরাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা ওই বৃদ্ধকে মারধর করে কারণ, তাঁর থেকে কেনা তাবিজে কোনও কাজ হয়নি বলে।
আরও পড়ুন লিকার মাফিয়াদের নিয়ে খবর প্রকাশের পর মৃত্যু সাংবাদিকের! চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়
ধৃতদের নাম পারবেশ গুজ্জর, আদিল এবং কাল্লু। যাঁদের নামে এফআইআর হয়েছে তাঁরা এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশের অভিযোগ। এমনকী সেই টুইটগুলি এখনও নিজেদের হ্যান্ডেল থেকে সরাননি তাঁরা, জানিয়েছে পুলিশ। টুইটারও সেই টুইটগুলি মোছেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন