চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত সমস্ত যন্ত্রকে 'ড্রাগস' আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব কেন্দ্রের

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই আইন বলবৎ হলে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি পণ্যের সুরক্ষা, মান এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। এমনকি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই আইন বলবৎ হলে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি পণ্যের সুরক্ষা, মান এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। এমনকি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি কেন্দ্র সরকারের।

চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তথা কৃত্রিম অঙ্গের মাধ্যমে রোগ সংক্রমণ এবং পরবর্তীতে মানবদেহে তার গুরুতর প্রতিক্রিয়ার বেশ কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে এবার সমস্ত মেডিকাল ডিভাইস এবং ডায়াগনস্টিকগুলিকে চিকিৎসাক্ষেত্রে বিদ্যমান বিশেষ আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই আইন বলবৎ হলে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি পণ্যের সুরক্ষা, মান এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। এমনকি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নতুন আইন।

Advertisment

আরও পড়ুন- ‘নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার নেই বহিরাগতদের’, এনআরসি বিতর্কে ঘি ঢাললেন সুরেশ যোশী

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে ওষুধ বলে সংজ্ঞায়িত প্রতিটি দ্রব্যকেই ড্রাগস এবং কসমেটিকস আইন, ১৯৪০-এর আওতাভুক্ত করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, "চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, উপাদান কিংবা অন্যান্য সমস্ত ডিভাইস যা চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সে কোনও সফটওয়্যার হোক, অথবা অন্য কোনও সামগ্রী, সবকটিকেই এই আইনের আওতায় আনা হবে।"

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের খসড়া অনুযায়ী, রোগনির্ণয়, রোগপ্রতিরোধ, এবং পর্যবেক্ষণে সহায়তার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও এই আইনের আওতায় আনা হবে। ভেন্টিলেশনে ব্যবহৃত ডিভাইস এবং যন্ত্রাংশগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার ডিভাইস, পাশাপাশি নিরোধক যন্ত্রাংশগুলিকেও এই আইনের আওতায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শুক্রবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই জাতীয় ডিভাইসের উৎপাদনকারী এবং আমদানিকারকদের কমপক্ষে ১.৫ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ন্ত্রকের লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকতে হবে।

Advertisment

আরও পড়ুন, বাংলাদেশের ‘গুলির’ পাল্টা জবাব দেয়নি ভারত, মন্তব্য বিএসএফের

উল্লেখ্য, এই নতুন খসড়াটি দেশে বর্তমান মেডিকেল ডিভাইস নীতি (২০১৭)-কেই সংশোধন করবে। সেখানে ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ, কার্ডিয়াক স্টেন্ট, ইন্ট্রা-অক্যুলার লেন্স, হাঁটু এবং হিপ ইমপ্লান্ট এবং হার্ট-ভালভ সহ ২৩ টি ডিভাইসকে ইতিমধ্যে দেশের ওষুধ আইন অনুযায়ী "ড্রাগস" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড (ডিটিএবি) চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডিভাইস বিষয়ে সুপারিশ করেছিল যে এগুলিকে যেন ধাপে ধাপে নতুন আইনের আওতায় আনা হয়।

Read the full story in English