অবশেষে পুলিশি জালে পূজা শকুন পাণ্ডে। গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসে তাঁর কুশপুতুলে গুলি চালিয়ে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন হিন্দু মহাসভার জাতীয় সম্পাদক পূজা। বুধবার পূজা ও তাঁর স্বামীকে আলিগড় পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি এ ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন পূজা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজির কুশপুতুলের দিকে পিস্তল তাক করে প্রথমে ক্যামেরার সামনে বেশ কয়েকবার পোজ দেন পূজা। তারপর নাথুরাম গডসের কায়দায় গান্ধীজির কুশপুতুলে গুলি চালান তিনি। এতেই শেষ নয়, কুশপুতুল থেকে ঝরে পড়ে ‘রক্ত’। এভাবেই অনুষ্ঠিত হয় জাতীর জনকের হত্যার ঘটনার ‘নাট্য রূপান্তর’। গুলি চালানোর পর মিষ্টিমুখও করিয়েছেন পূজা। তাঁর সমর্থক ও মহাসভার সদস্যদের মিষ্টি বিতরণ করেছেন তিনি। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, গান্ধীজির কুশপুতুলে গুলি চালিয়ে ‘রক্ত’ ঝরালো হিন্দু মহাসভা
এ ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পূজা ও তাঁর স্বামী অশোক পাণ্ডে-সহ ৯ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ, ২৯৫ এ, ১৪৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, গান্ধীজির কুশপুতুলে গুলি! প্রতিবাদে হিন্দু মহাসভার ওয়েবসাইট হ্যাক
এ ঘটনা প্রসঙ্গে অশোক পাণ্ডে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমরা ভুল কিছু করিনি। আমরা আমাদের অফিস চত্বরেই করেছি এটা। গান্ধীজি দেশভাগের জন্য দায়ী...১০ লক্ষেরও বেশি হিন্দু মারা গিয়েছিলেন।’’ অন্যদিকে, এ ঘটনায় রাজীব কুমার নামে হিন্দু মহাসভারই এক সদস্য পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানান, পূজা ওই সংগঠনের কেউ হন না। হিন্দু মহাসভার ব্যানারকে সামনে রেখে পূজা এমন কাণ্ড করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজীব। উল্লেখ্য, রাজীব যে হিন্দু মহাসভার সদস্য, তার প্রেসিডেন্ট স্বামী চক্রপানি।
যদিও পরে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অশোক পাণ্ডে। দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘‘স্বামী চক্রপানির নেতৃত্বাধীন হিন্দু মহাসভার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। রাজীব কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে পূজার নামে এফআইআর দায়ের করে ভুল করেছে পুলিশ।’’ প্রসঙ্গত, অশোক যে হিন্দু মহাসভার সদস্য, তার প্রেসিডেন্ট চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক।
Read the full story in English