1968 Air Force plane crash: ৫৬ বছর ধরে বরফে চাপা পড়ে ছিল বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সেনা কর্মীর দেহ। অবশেষে সেনা বাহিনীর দূর্দান্ত অভিযানে উদ্ধার হয় সেই দেহ। এখনও নিখোঁজ বহু। অভিযান চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যেই রয়েছেন নিহত সেনা থমাস চেরিয়ান। তাঁর পরিবারের তরফে বলা হয় "আমরা বুঝতে পারছি না কীভাবে পরিস্থিতির বর্ণনা করব। আমরা একইভাবে আনন্দিত এবং দুঃখিত।"
এটি দেশের দীর্ঘতম উদ্ধার অভিযান বলে সেনা সূত্রে খবর। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই উদ্ধার অভিযানে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। হিমাচল প্রদেশের দুর্ঘটনাস্থল থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তাঁরা হলেন মালখান সিংহ, সিপাহী নারায়ণ সিংহ এবং থমাস চরণ। চতুর্থ ব্যক্তির দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে মাত্র পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। এই নিয়ে মোট ৯ সেনা কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পকেটে পাওয়া পে-বুক থেকে তাদের দেহ শনাক্ত করা হয়।
কবে, কোথায় পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী? উৎসবের আমেজেও প্রতিবাদমুখর কলকাতা
দিনটা ছিল ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমান চণ্ডীগড় থেকে লেহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। বিমানটিতে ১০২ জন সেনা ছিলেন। কিন্তু হিমাচলের রোটাং পাসের কাছে বিমানটির সঙ্গে সব রকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তারপরে বিমানটি ভেঙ্গে পড়ে। রেওয়ারির ডিসি অভিষেক মীনা বলেছেন যে সামরিক অভিযান দল বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
ইরানের ভয়াবহ হামলা, দিশেহারা ইজরায়েল, ভারতীয়দের জন্য জারি সতর্কতা, পাশে বাইডেন
২০০৩ সালে, অটল বিহারী বাজপেয়ী ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-এর পর্বতারোহীরা বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, বিশেষ করে ডোগরা স্কাউটস বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে এবং ২০০৫, ২০০৬, ২০১৩ এবং ২০১৯ সালে অনুসন্ধান অভিযানে পাঁচটি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এবার আরও চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।