Advertisment

মহিলা পশু চিকিৎসক হত্যা, ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অভিযুক্তরা

এই ঘটনার পরও শুক্রবার সামসাবাদ শহরের বাইরে সিদ্দুলাগুট্টায় ফের এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে হায়দরাবাদের বাসিন্দারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হায়দরাবাদে মহিলা পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার চারজনকে অভিযুক্তকেই ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুশারে ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তকে সাদনগর থানা থেকে চঞ্চগুদা কেন্দ্রীয় কারাগারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

গত বুধবার রাতে মহিলা পশু চিকিৎসকে প্রথমে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এই চার অভিযুক্ত। পরে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয় বলে জানতে পারে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখে শুক্রবার রাতে নারায়ণপেটের বাসিন্দা ট্রাক চালক, তার সহকারী ও আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ ও ৩৬২ ঝারায় অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বোনকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দাদার

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহিলা পশু চিকিৎসকে প্রথমে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এই চার অভিযুক্ত। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে দেয় তারা। রীতিমত পরিকল্পনা করেই ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল মহিলা পশু চিকিৎসককে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মহিলা পশু চিকিৎসককে টোল প্লাজায় স্কুটি পার্কিং করতে দেখেন ওই চার যুবক। তারা তখনই তরুণীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। রাত ৯টার পর নিজের কাজ সেরে আবার টোল প্লাজায় ফেরেন যুবতী চিকিৎসক। তিনি দেখেন স্কুটির চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তিনি। সেই সময় দুই অভিযুক্ত তাঁর কাছে আসে। স্কুটি সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। দু’জনে গ্যারেজ খোঁজার অছিলায় স্কুটি নিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর তারা স্কুটি নিয়ে ফিরে আসে। দোকান বন্ধ বলে চিকিৎসককে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: মাকে প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখে ফেলায় মেয়েকে যৌন অত্যাচার, খুন

ঠিক সেই সময় বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ওই চিকিৎসক যুবতী। ভয় লাগছে বলে বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরই মহিলা চিকিৎসকের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। ততক্ষণে প্রায় রাত প্রায় পৌনে দশটা বেজে গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ততক্ষণে টোল প্লাজা থেকে কিছু দূরে চার যুবক তরুণীকে টেনে নিয়ে যায়। চলে নারকীয় অত্যাচার। ধর্ষণ করে রাত রাতই খুন করা হয় যুবতী চিকিৎসককে। সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজ্জানার জানিয়েছেন, 'অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জন যুবতীকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।'

এই ঘটনার পরও শুক্রবার সামসাবাদ শহরের বাইরে সিদ্দুলাগুট্টায় ফের এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শহরের নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে হায়দরাবাদের বাসিন্দারা। তবে, ক্ষোভের মুখে শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দেখে মনে করা হচ্ছে এটি অত্মহত্যার ঘটনা। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মহিলা একটি ব্যাগ ও ভর্তি বোতল হেঁটে চলেছেন। প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন মহিলা স্থানীয় এক মন্দিরে বসে কাঁদছিলেন। দেহের পোড়া অংশ ও ক্ষত দেখে পুলিশ মনে করছে মহিলা আত্মহত্য়া করেছেন। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট দেখেই সবটা বোঝা যাবে।

Read  the full story in English

rape hyd
Advertisment