Advertisment

ইসলামাবাদে 'গ্রেফতারে'র পর মুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী-'ভারত-নেপালের বন্ধন রুটি-বেটির মতো'-রাহুলের মুখে আইনস্টাইনের উক্তি-দিগ্বীজয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর

আজ কী ঘটল দেশে? আপডেটেড থাকতে আপনাকে যে খবর জানতেই হবে, দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর এই প্রতিবেদনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India latest news, দেশের খবর, ভারতের খবর

দেশের খবর একনজরে।

ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মীকে 'গ্রেফতার' করার পর মুক্ত করা হল। ভারত ও নেপালের বন্ধন ‘রুটি-বেটি’র মতো বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিকে, মোদী সরকারকে বিঁধতে এবার আইনস্টাইনের উক্তি ব্য়বহার করলেন রাহুল গান্ধী। অন্য়দিকে, মধ্য়প্রদেশে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বীজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। দেশের এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ে নিন এক এক করে...

Advertisment

ইসলামাবাদে ‘ধৃত’ ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী মুক্ত

publive-image

ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য়কর তথ্য় সামনে এল। ওই দুই ভারতীয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সোমবার সন্ধ্য়ায় তাঁদের ছেড়ে হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ হায়দপ শাহকে তলব করেছিল ভারত একইসঙ্গে ডিমার্চে ইস্য়ু করা হয়েছিল।

* পাক টিভি চ্য়ানেল জিও নিউজ দাবি করেছে, ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল ইসলামাবাদ পুলিশ। এক পথচারীকে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। এরপরই তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে খবর।

*ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ হন। বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাসের তরফে পাক সরকারকে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ দু'জনের মধ্যে একজন সিআইএসএফ সুরক্ষা কর্মী ও অন্যজন গাড়ির চালক।

*কয়েক দিন আগেই পাক দূতাবাসের দুই কর্মী আবিদ হুসেন ও মহম্মদ তাহিরকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কার করে ভারত। অভিযুক্তরা গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করছিল বলে অভিযোগ। তার পরই পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

* ভারত পাক কূটনীতিকদের বহিষ্কারের পর থেকে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে নিযুক্ত কূটনীতিক, অফিসার, কর্মীদের উপর পাক নজরদারি বাড়ানো হয়।
* সম্প্রতি ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় এক কূটনীতিক এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও নয়াদিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন।
* এরপরই পাক প্রশাসনের কাছে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার দাবি করা হয়।

জানা গিয়েছে কোনও কাজে নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মীর। সেই অনুযায়ী তাঁরা বাইরে যান। কিন্তু বহুক্ষণ পরেও তাঁদের আর খোঁজ মিলছে না। গোটা ঘটনা ইসলামাবাদকে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ দুই কর্মীকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

'ভারত-নেপালের মধ্যে রুটি-বেটির বন্ধন, কেউ ভাঙতে পারবে না'

publive-image প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

ভারত ও নেপালের বন্ধন 'রুটি-বেটি'র মতো বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, 'ভারত আর নেপালের মধ্যে যদি কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয় তবে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। বিশ্বের কোনও দেশই এই বন্ধন ভাঙতে পারবে না।'

উত্তরাখণ্ডে ভার্চুয়াল ব়্যালিতে বক্তব্য রাখার সময় রাজনাথ বলেন, 'নেপালের সঙ্গে আমাদের সামাজিক, ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং এমনকী আধ্যাত্মিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। এই বন্ধন অনেকটা রুটি-বেটির মতো। আমি আপনাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একথা বলতে পারি যে, লিপুলেকে সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালীদের মধ্যে যদি কোনও অসন্তোষ থাকে তবে তা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করব।'

* ভারতের লিপুলেক, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা এলাকা তাদের অংশ বলে দাবি করেছে নেপাল।
* ১৩ জুন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে যায় সংবিধান সংশোধনী বিল।
* সেই বিল আপাতত উচ্চ কক্ষে আলোচনার জন্য গৃহিত হয়েছে, পরে ভোটাভুটি হবে।
* আগামী বুধবার বিলটি সাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হতে পারে।
* নয়া মানচিত্র নিয়ে নেপালের পদক্ষেপে প্রথম থেকেই সরব ভারত।
* এহেন পদক্ষেপ ‘অসমর্থনযোগ্য’ এবং ‘ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হয়নি’ বলে দাবি দিল্লির।

সম্প্রতি ভারতীয় সেনা প্রধান এম এম নারাভানে বলেছিলেন, নেপালের ওই দাবির পিছনে কারোর মদত রয়েছে। তাঁর ইঙ্গিত ছিল চিন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি প্রথম থেকেই সীমান্ত নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। সুর চড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম পর্যায় অতিক্রান্ত। পরবর্তী ধাপে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে আলোচনা হবে।’ Read in English

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

আইনস্টাইনের উক্তি ধার করে মোদী সরকারকে নিশানা রাহুলের

rahul gandhi, রাহুল গান্ধী ফাইল ছবি।

মোদী সরকারকে বিঁধতে এবার আইনস্টাইনের উক্তি ধার করলেন রাহুল গান্ধী। করোনা মোকাবিলায় দেশে লকডাউন নীতির ব্য়র্থতা তুলে ধরে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে আইনস্টাইনের উক্তি ব্য়বহার করে এদিন টুইটারে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, ‘উদাসীনতার থেকে ঔদ্ধত্য় খুবই বিপজ্জনক, লকডাউন এটাই প্রমাণ করেছে”।

*এদিন টুইটারে একটি গ্রাফও তুলে ধরেছেন কংগ্রেস সাংসদ। যে গ্রাফে দেখা গিয়েছে, দেশে ৪ দফা লকডাউনে অর্থনীতি কতটা ঝিমিয়ে পড়েছে, আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

*করোনা পরিস্থিতিতে বিরোধীদের কথা শুনছে না সরকার, সরকারের এই ঔদ্ধত্য়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল।

*উল্লেখ্য়, লকডাউন জারি করে করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে আগেও সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন রাহুল। (বিস্তারিত পড়ুন-আইনস্টাইনের উক্তি হাতিয়ার করে মোদী সরকারকে আক্রমণ রাহুলের)

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

বাংলার গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন

দিগ্বীজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের

fir against digvijaya singh, দিগ্বীজয় সিং, দিগ্বীজয় সিং এফআইআর ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বীজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের ঘিরে সরগরম মধ্য়প্রদেশ রাজনীতি। সে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বানের একটি পুরনো বক্তৃতার ভিডিও এডিট করে ছড়ানোর অভিযোগে কংগ্রেস নেতা দিগ্বীজয়-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে মধ্য়প্রদেশ পুলিশ।

*কমল নাথ সরকারের আমলে মদ নীতি নিয়ে চৌহ্বানের একটি পুরনো বক্তৃতা এডিট করে তা ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

*এফআইআর দায়ের নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দিগ্বীজয়। তবে ভিডিওটি কে এডিট করল, তা যাতে তদন্ত করে পুলিশ, সে ব্য়াপারে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

*জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে, ওই ভিডিও ঘিরে দিগ্বীজয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবিতে পুলিশে অভিযোগ জানায় শাসকদল বিজেপি।

*এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশ্চল ঝারিয়া জানিয়েছেন, ”অভিযোগের ভিত্তিতে দিগ্বীজয় সিং, অবিনাশ কাবড়ে-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১, ৫০৫ (২), ৪৬৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে”। এ ঘটনায় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। (বিস্তারিত পড়ুন-কংগ্রেস নেতা দিগ্বীজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের)

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

ভারতের নদীর জল পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হবে না, সাফ জানালেন নিতিন

publive-image নিতিন গড়কড়ি

ভারত-পাক সম্পর্কের তিক্ততার জল যে অনেকদূর গড়িয়েছে তা ফের একবার স্মরণ করালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। রবিবার একটি জনসভা থেকে মন্ত্রী জানান যে ‘অখন্ড ভারত’-এর তিনটি নদীর জল পাকিস্তানও ব্যবহার করে। কিন্তু পাক ভূখন্ডকে কোনওমতেই সেই নদীর জল ব্যবহার করতে দিতে নারাজ ভারত। তাই কেন্দ্র সেই জলেই এবার বাঁধ দিতে চায়।

*নিতিন গড়কড়ি বলেন, পাকিস্তানকে এই তিনটি নদীর জল ব্যবহার করতে না দিলে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরাখন্ড এবং হিমাচল প্রদেশ এই জল ব্যবহার করতে পারবে।

*নাগপুর থেকে গুজরাটের একটি সভায় জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন যে ভারত শান্তি এবং অহিংসার প্রতি বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কোনও শক্তিপ্রদর্শন করতে চায় না ভারত। (বিস্তারিত পড়ুন-ভারতের নদীর জল পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হবে না, সাফ জানালেন নিতিন)

দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে

গোয়ায় বিজেপিকে সমর্থন জীবনের সবথেকে বড় রাজনৈতিক ভুল: সরদেশাই

publive-image প্রমোদ সাওয়ান্ত

গোয়ায় বিজেপির প্রমোদ সাওয়ান্ত সরকারকে সমর্থন দেওয়া তাঁর এবং তাঁর দল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির 'রাজনৈতিক ভুল' সিদ্ধান্ত ছিল। ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন গোয়ার প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয় সরদেশাই। প্রমোদ সাওয়ান্ত সরকারকে 'অদক্ষ, অস্বচ্ছ ও দায়বদ্ধতাহীন' বলে কটাক্ষ করেছেন। নিজের কৃত কর্মের জন্য গোয়াবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সারদেশাই।

গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয় সরদেশাই বলেছেন, 'ভবিষ্যতে এই ধরনের সরকারকে আর সমর্থন করব না। আমরা মনে করি মনোহর পারিক্করের মৃত্যুর পর গোয়ায় বিজেপি মৃত্যু ঘটেছে। ভবিষ্যতে আমরা কখনই এই রাজ্যে বিজেপিকে আর শাসন করতে দেব না।' তাঁর ও দলের 'ভুল রাজনৈতিক' সিদ্ধান্তের জন্যই গোয়ার মানুষ কষ্টে রয়েছেন বলেই মনে করে প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'পারিক্কারের মৃত্যুর পরই জোটকে সমর্থন উচিত হয়নি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল পদক্ষেপ। আপনাদেরও ভুগতে হচ্ছে। এই ভুলের জন্য আমি প্রায়শ্চিত্ত করতে রাজি।'

* ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোয়ায় একক সংখ্য়া গরিষ্ঠ দল হয় কংগ্রেস।
* প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব ছেড়ে গোয়ার ফেরেন মনোহর পারিক্কর।
* বিজেপি গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, মহারাষ্ট্র গোমন্ত্রক পার্টি ও নির্দলদের সমর্থনে সরকার গঠন করে।
* আগের বছর পারিক্কর মারা যাওয়ার পর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন প্রমোদ সাওয়ান্ত।
* কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলে বিজয় সরদেশাইকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
* গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ কেড়ে নেওয়া হয়।

এরপরই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ ঘটে সারদেশাইয়ের। বর্তমানে প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির প্রধান। Read in English

দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ দেশের খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে

rajnath singh
Advertisment