শর্তসাপেক্ষে ফারুক-ওমরের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি আদালতের

গৃহবন্দি ফারুক ও ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই সাংসদকে দেখা করার অনুমতি দিল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট।

জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের জেরে উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি করা হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা ও সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লাকে। প্রশাসনের এই আচরণকে 'গণতন্ত্রের হত্যা' বলে অভিযোগ করেছেন ভূস্বর্গের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী। তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হয় জম্মু-কাশ্মীরের এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শর্ত সাপেক্ষে ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই সাংসদকে ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘মন্দা কাটাতে সরকারকে আগে স্বীকার করতে হবে, আর্থিক সংকটে রয়েছে দেশ’

বর্তমানে, শ্রীনগরে নিজের বাড়িতেই বন্দি বর্ষীয়ান ফারুক আবদুল্লা। তাঁর ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছে হরি নিবাসে। গত বুধবার, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে একটি আবেদন নথিভূক্ত করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারক হাসনাইন মাসুদি ও আকবর লোন। দলের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করা অনুমতি চান তাঁরা। কেন দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারীরা।

আরও পড়ুন: কুলভূষণকে আর কনসুলার অ্যাকসেস দেবে না পাকিস্তান

সেই আবেদনের ভিত্তিতেই ফারুক ও ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই সাংসদকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের বিচারক সঞ্জীব কুমার। তবে, শর্ত হিসাবে বলা হয়েছে, এই সাক্ষাতের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবেন না ওই দুই এনসি সাংসদ। রায়ে বলা হয়েছে, 'আবেদনকারীদের নিশ্চিৎ করতে হবে যেন এই সাক্ষাৎ সৌজন্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দুই নেতার শারীরিক সুস্থতা নিয়েই কেবল খোঁজ খবর নেবেন তাঁরা ও এই সাক্ষাৎ নিয়ে পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু প্রকাশ করা যাবে না।' আদালত জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত এই সাক্ষাৎ করানোর বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেয়। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, 'দুই গৃহবন্দি নেতার সঙ্গে যেন পৃথক পৃথকভাবে দেখা করানো হয় ন্যাশনাল কমফারেন্সের দুই সাংসদকে।'

সরকার আদালতকে জানিয়েছে, 'এই সাক্ষাতে আনুষ্ঠানিক কোনও বাধা নেই। তবে, শান্তি ভঙ্গ হতে পারে এমন কোনও আচরণ করা উচিত হবে না।'

Read the full story in English