/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/k-1-1.jpg)
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার
এখনও জম্মু-কাশ্মীরে বিধিনিষেধ আরোপিত। বন্দি রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহু নেতা। সরব বিরোধিরা। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরজুড়ে উন্নয়নের কথা বলছে কেন্দ্র। সেই উন্নয়ন বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ প্রশাসনের। উপত্যকায় ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচনের ঘোষণা করল জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অক্টোবরের ২৪ তারিখ হবে এই নির্বাচন। ওই দিনই বেরোবে ভোটের ফল।
আরও পড়ুন: “কাশ্মীরে কোথায় নিষেধাজ্ঞা”?
পাঞ্চ ও সারপাঞ্চরা ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে। এরপরই গঠন করা হবে ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। প্রতিটা ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট বোর্ডও ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেবে। এছাড়াও এই প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন ওই রাজ্য় থেকে নির্বাচিত বিধায়ক ও সাংসদরা। ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যেমে রাজ্যের থমকে থাকা উন্নয়নের কাজ দ্রুত রূপায়িত হবে বলে আশা সকলের।
৩১০টি বল্কের মধ্যে ১৭২টি সংরক্ষিত তপশিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলাদের জন্য। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার বলেন, বেশিরভাগই কাশ্মীরে অবস্থিত। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েকত ভোট হয়। ২৩,৬২৯ পঞ্চ ও ৩,৬৫২জন সারপাঞ্চ নির্বাচিত হন। যদিও সরকারি হিসাব বলছে পাঞ্চ পদের প্রায় ৬১ শতাংশ খালি পরে রয়েছে। ১৮, ৮২২ পাঞ্চ ওয়ার্ডের মধ্যে পাঞ্চ নির্বাচিত হয়েছেন ৭,৫৯৬ জন ও ২,৩৭৫ সারপাঞ্চের মধ্যে ১,৫৫৮ জন নির্বাচিত। পরিসংখ্যান বলছে, ৭,৫৯৬ জন পাঞ্চের মধ্যে ৩,৫০০ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। সারপাঞ্চের সংখ্যা ৫৩০।
আরও পড়ুন: মোদীর মুখে ‘মন কী বাত’-এ এবার উঠে এলেন মেদভেদভ, কীভাবে?
এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার বলেন, 'প্রশাসন পর্যাপ্ত সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করি ভালভাবেই সব মিটবে।' কিন্তু, যেসব পাঞ্চ পদ ফাঁকা রয়েছে, সেখানে কি একই সঙ্গে ভোট সম্পন্ন করা যেত না? রাজ্য় মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের মতে, 'এক্ষেত্রে রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধন করতে হবে। প্রায় ২ শতাংশ নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। তা সম্পন্ন না হলে ওই নির্বাচন সম্ভব নয়।'
Read the full story in English