৩৭০ ধারা বাতিলের পর কার্যত ‘গৃহবন্দি’ উপত্যকা। নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে এখনও থমথমে কাশ্মীর। এই পরিস্থিতিতে এক সাংবাদিককে আটক করার ঘটনা নয়া মোড় নিল। কাশ্মীরে একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিককে আটক করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এমন দাবিই করেছে ‘গ্রেটার কাশ্মীর’ সংবাদপত্রের সাংবাদিক ইরফান মালিকের পরিবার। তাঁদের দাবি, দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় সাংবাদিকের বাড়িতে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু কেন তাঁদের ঘরের ছেলেকে আটক করা হল, এ নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি ইরফানের পরিজনদের। পুলওয়ামার ত্রালে থানায় রাখা হয়েছে ইরফানকে, এমন দাবি করেছে পরিবার।
এ প্রসঙ্গে ইরফানের বাবা মহম্মদ আমিন মালিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনী আসে। যেই না বাড়ি থেকে বেরোয় ইরফান, তখনই তাকে তুলে নিয়ে যায়…ওকে সোজা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়’’। বুধবার রাতে ছেলের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয় না বলে দাবি করেছেন ইরফানের বাবা। সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র সূত্রে খবর, পুলওয়ামা এলাকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন ইরফান।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে চিনের চিঠি, নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক শীঘ্রই
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে থানায় ইরফানের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর মা। এ প্রসঙ্গে ইরফানের মা হাসিনা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ছেলের সঙ্গে থানায় দেখা হয়েছে। ও জানে না, কেন ওকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ প্রশানের কাজে আর্জি, আমার ছেলেকে ছেড়ে দিন, ও কোনও অন্যায় করেনি’’।
আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক সংবিধান’, ৩৭০ ধারা নিয়ে ফের মুখ খুললেন মোদী
ছেলের আটক হওয়ার ঘটনা সংবাদমাধ্যমে জানাতে শ্রীনগর যান ইরফানের বাবা। ইরফান যে সংবাদপত্রে কাজ করেন, তা এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। তাই জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মিডিয়া ফেসিলিয়েশন সেন্টারে গোটা বিষয়টি অবগত করেন ইরফানের বাবা। অবন্তিপোরার পুলিশ সুপারকেও এ বিষয়ে তাঁরা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরফানের মা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুলিশ সুপারকে জানাই যে, গ্রেটার কাশ্মীর সংবাদপত্র এখন প্রকাশিত হচ্ছে না। কেন আমার ছেলেকে আটক করা হল, কী অভিযোগ রয়েছে, এ নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি এসপি’’। পরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পুলিশ সুপার প্রথমে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। পরে যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ইরফানের মা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, তখন তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি’’। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র জানান, তাঁরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
Read the full story in English