গগৈ কাণ্ডে প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাতের অভিযোগ প্রাক্তন বিচারপতির
তদন্তের রিপোর্টের কপি কেন অভিযোগকারিণীর হাতে তুলে দেওয়া হল না, প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি লোকুর। তিনি বলেছেন অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের ক্ষেত্রে রিপোর্টের কপি তুলে দেওয়ায় কোনও বাধা নেই।
তদন্তের রিপোর্টের কপি কেন অভিযোগকারিণীর হাতে তুলে দেওয়া হল না, প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি লোকুর। তিনি বলেছেন অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের ক্ষেত্রে রিপোর্টের কপি তুলে দেওয়ায় কোনও বাধা নেই।
দেশের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এক প্রাক্তন মহিলা সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্তে 'প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাত' হয়েছে, অভিযোগ শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লোকুরের। গত বছর ডিসেম্বরে অবসর নেন তিনি।
Advertisment
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেও তার তদন্তের দায়িত্বেও প্রধান বিচারপতির থাকাটা আদৌ উচিত কিনা, তাই নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। এই চার বিচারপতির মধ্যে ছিলেন মদন বি লোকুর।
দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন প্রাক্তন এক মহিলা কর্মী। রঞ্জন গগৈকে বিচারপতির প্যানেল ক্লিনচিট দেওয়ায় হতাশ হয়েছেন অভিযোগকারিণী মহিলা। তাঁর প্রাথমিক প্রক্রিয়া, “দুঃস্বপ্ন সত্যি হল”।
Advertisment
“আমি মনে করি একজন মহিলা নাগরিক হিসেবে আমার সঙ্গে চূড়ান্ত অন্যায় হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আদালতের অন্তর্বিভাগীয় প্যানেল তাঁকে ক্লিন চিট দেওয়ায় আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমার এবং আমার পরিবারের সম্মানহানির বিরুদ্ধে আদালত এতটুকু নিরাপত্তা দিল না। আদালতের তদন্ত কমিটি জানিয়েছে তদন্ত রিপোর্টের কোনও কপি আমায় দেওয়া হবে না। আমি জানতেও পারব না ঠিক কী কী কারণে আমার দায়ের করা যৌন হেনস্থার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হল। এমনিতেই গত ২০ এপ্রিলের শুনানিতে আমার অনুপস্থিতিতেই আমার চরিত্র এবং অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।”, বলেছেন অভিযোগকারিণী।
তদন্তের রিপোর্টের কপি কেন অভিযোগকারিণীর হাতে তুলে দেওয়া হল না, প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি লোকুর। তিনি বলেছেন অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের ক্ষেত্রে রিপোর্টের কপি তুলে দেওয়ায় কোনও বাধা নেই।
সমগ্র ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন বিচারপতি লোকুর। "রিপোর্ট গ্হীত হবে, না কি খারিজ হবে, সেটা জানা যাবে কীভাবে? এখনও অবধি যা বোঝা যাচ্ছে, রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, হলেও তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি", জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
তিনি আরও বলেন, "২০ এপ্রিলের পর থেকে ঘটনাক্রম বিচার করে বঝা জাচ্ছে, যখন থেকে তদন্তের ভার প্রধান বিচারপতি নিজে নিলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল"।