Allahabad High court: বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ডিভোর্স মামলায় পৌঁছেছে হাইকোর্টে । মামলার রায় দেওয়ার সময় আদালত বলেছে দেখে মনে হচ্ছে সত্যি "কলিযুগ এসেছে..."! এলাহাবাদ হাইকোর্ট 'খোরপোষ' বাবদ' ভাতা নিয়ে বয়স্ক দম্পতির মধ্যে বচসা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আদালত এই মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, 'দেখে মনে হচ্ছে 'কলিযুগ এসেছে'।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট 'খোরপোষ বাবদ' ভাতা নিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির মধ্যে চলমান আইনি লড়াই নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির সময়, আদালত 'বৃদ্ধ দম্পতির' মধ্যে বচসা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে, শুনানিকালে আদালত বলেছে, এ ধরনের 'আইনি লড়াই' যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, মনে হচ্ছে 'কলিযুগ এসেছে'। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বামীর পক্ষে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে বিচারপতি সৌরভ শ্যাম শমশেরি বলেন, “৭৫-৮০ বছর বয়সী এক দম্পতি 'ভরণপোষণ' বাবদ' ভাতা পাওয়ার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছেন। এটা খুবই উদ্বেগজনক। মনে হচ্ছে কলিযুগ এসেছে।”
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদে ব্যবহৃত ঘি আদৌ খাঁটি? তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কের মাঝে বিরাট সিদ্ধান্ত
আসলে পুরো মামলাটি আলিগড়ের। যেখানে ৮০ বছর বয়সী মুনেশ কুমার গুপ্ত এবং তার ৭৬ বছর বয়সী স্ত্রী গায়ত্রী দেবীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে। মুনেশ কুমার গুপ্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারভাইজার পদ থেকে অবসর নেন। ২০১৮ সাল থেকে তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এরপর স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর স্ত্রী গায়ত্রী দেবী এই বিষয়ে ফ্যামিলি কোর্টে আবেদন করেন। তিনি ভরণপোষণ ভাতা দাবি করেন।
গায়েত্রী দেবী আদালতে জানান, তাঁর স্বামীর পেনশন প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে, তাঁকে মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া উচিত। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফ্যামিলি কোর্ট এ বিষয়ে রায় দেয়। তার আদেশে, আদালত মুনেশ কুমার গুপ্তাকে তার স্ত্রী গায়ত্রী দেবীকে ৫ হাজার টাকা 'ভরণপোষণ' বাবদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন মুনেশ কুমার গুপ্ত। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২৪ সেপ্টেম্বর শুনানি হয়। শুনানির সময় বিচারপতি দম্পতিকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে স্বামীর আবেদনে স্ত্রীকে নোটিশ দিয়েছে আদালত।