সোশালে মিডিয়ায় গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষা এবং নিরাপত্তা, দুয়ের মাঝে ভারসাম্য রাখতে গ্রাহকের আধার যুক্ত করানোর বিষয়ে মাদ্রাস, বম্বে এবং মধ্যপ্রদেশে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। ফেসবুকের আবেদন ছিল, চারটি আলাদা আবেদন কে নিয়ে একসঙ্গে শুনানি করুক শীর্ষ আদালত। ফেসবুকের সেই আবেদনে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র, এবং তামিলনাড়ু সরকার, এবং ফেসবুক, গুগল, টুইটার এবং ইউটিউবকে নোটিস পাঠিয়েছে।
আরো পড়ুন, আরও বিপাকে চিদম্বরম, এবার লুকআউট নোটিস জারি ইডি-র
তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল জানিয়েছেন মাদ্রাস হাইকোর্ট ইতিমধ্যে ১৮ বার বিষয়টি নিয়ে শুনানি করেছে। এবার এই আদালতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর অধিকার দেওয়া উচিত।
অ্যান্টনি ক্লিমেন্ট রুবিন মাদ্রাস হাইকোর্টে গত বছর সোশাল মিডিয়ায় আধার নম্বর যুক্ত করা নিয়ে আবেদন করেছিলেন। রুবিন বলেছিলেন ব্যক্তিগত কারণেই তিনি আদালতে এই আবেদন করেন। যদিও সোশাল মিডিয়ায় আধার সংযুক্তিকরণের ফলে গ্রাহকের গোপনীয়তা নষ্ট হতে পারে, এই যুক্তি দেখিয়ে অনেক সমাজকর্মীই রুবিনের বিরোধিতা করেছিলেন।
আরও পড়ুন, ৩২ জন কাশ্মীরি মেয়ে বাড়ি ফিরল সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়রের ফেসবুক লাইভের দৌলতে
এদিন বেনুগোপাল বলেন, 'ব্লু হোয়েলের মতো মারাত্মক গেম সোশ্যাল মিডিয়ায় মারফত ছড়িয়ে যাচ্ছে। কারা এর পেছনে আছে, তার কোনও হদিশই পাওয়া জাচ্ছে না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সরকারের যাচাই করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। বেনুগোপাল মনে করেন, আধার কার্ডের সঙ্গে যোগ করা উচিত প্রতিটি ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। এত ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি মেসেজের প্রেরক কে, তার তথ্য থাকবে সরকারের কাছে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতোগি ও কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। এটা দেশের নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যাপার। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে হাইকোর্ট এ বিষয়ে মত দিতে পারে না।
Read the full story in English