করোনা কাঁপুনি ধরিয়েছে গোটা দেশে। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের হাঁসফাঁস দশা। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। তবে পরিস্থিতি এখনও নাগালের বাইরে যায়নি। যদিও শহরে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেলেই লকডাউন জারি করা হবে বলে সাফ জানালেন বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের মেয়র কিশোরী পেদনেকর। এরই পাশাপাশি বাস ও ট্রেনে চড়ার সময় প্রত্যেককে ত্রিস্তরযুক্ত মাস্ক পরতে আবাদেন জানিয়েছেন তিনি।
দেশে ফের একবার করোনা সুনামি। লাগামছাড়া সংক্রমণ দেশজুড়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। দেশের যে বড় শহরগুলিতে করোনা বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম বাণিজ্যনগরী মুম্বই।
শহরের সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বহন্মুম্বই পুরনিমগের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরনিগমের তরফে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত পুর কমিশনার সুরেশ কুলকার্নি জানিয়েছেন, পুরসভা পুরোদমে কাজ করছে। কোভিড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সব ধরনের উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সংক্রমণ শঙ্কা, রাজধানীতে জারি সপ্তাহান্তে কারফিউ, সরকারি কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’
ইতিমধ্যেই মুম্বই শহরে পুরসভা পরিচালিত স্কুলগুলি আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা হয়েছে। পুরসভার শিক্ষা আধিকারিক রাজু তাদভি জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইন ক্লাসগুলি চলবে। মুম্বইয়েও জোরকদমে চলছে ১৫-১৮ বছর বয়ীসদের টিকাকরণ। ৯টি জাম্বো কেন্দ্রে প্রতিদিন দেড় হাজার বাচ্চাকে করোনা টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মাত্রাছাড়া সংক্রমণে লাগাম টানতে তৎপরতা, বিধি-নিষেধ জারি পঞ্জাবেও
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ফি দিন দেশজুড়ে সংক্রমণের হাইজাম্প জারি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন। এই মুহুর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৩০। এরই পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৮৯২। মহারাষ্ট্রেই ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে সর্বাধিক। মারাঠাভূমে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৮।
Read full story in English