বীর সাভারকরকে ভারত রত্ন দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বিজেপি। গত কালই মহারাষ্ট্র নির্বাচনের দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রতিফলিত হয়েছে দলের প্রস্তাব। আর বুধবার, মহারাষ্ট্রের আকোলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরাসরি জানিয়ে দিলেন, "ভারত রত্ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী নেতা সাভারকরকে।"
Advertisment
প্রচারে মোদী বলেন, "হিন্দু ভাবাদর্শীরা ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান থেকে সবসময়ই বঞ্চিত। সাভারকরের মতো মানুষদের জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধের মাধ্যমেই পোক্ত দেশ গঠন সম্ভব।" বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "যাঁরা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে ভারত রত্ন দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরাই সাভারকরকে সম্মান প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেন।" কাশ্মীর ইস্যুতেও এদিন বিরোধীদের সমালোচনা করে জোর প্রচার চালান নমো।
সাভারকর ১৯৩৭ সাল থেকে শুরু করে ছয় বছর হিন্দু মহাসভার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের রাজনীতিতে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রাখার আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই ঘোষণা করেছে বিজেপি। বিজেপি বা আরএসএস কেউই চায় না, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক - যে কোনও স্তরেই অন্য কোনও সংগঠন হিন্দুত্বের আদর্শের রাজনীতিতে ভাগ বসাক। তাই মারাঠা ভূমে ভোটের আগে সাভারকরকে নিয়ে প্রচারে বিজেপি। একই সঙ্গে বিজেপির এই পদক্ষেপ তাদের আদর্শপ্রণেতাদের জাতীয় ব্যক্তিত্বে উন্নত করতে সহায়তা করবে।
এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, "বীর সাভারকর একজন বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাই তাঁকে ক্ষুদ্র রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা উচিত নয়। জাতীর উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান জানানো।"
২১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মহারাষ্ট্রে। শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে এবারও নির্বাচনী লড়াইতে বিজেপি। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় পদ্ম শিবিরের ইস্তেহার। যেখানে রাজ্যে এক কোটি যুবকের কর্ম সংস্থান ও বীর সাভারকার, জ্যোতিবা ফুলে ও সাবিত্রীবাই ফুলেকে ভারত রত্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।