হাওয়ালা চক্র এবং বেআইনি টাকা পাচার মামলায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারকে হেফাজতে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শুক্রবার কাসকারকে থানে জেল থেকে জি়জ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। এদিন পরে তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আদালত কাসকারকে জেরা করার জন্য ইডি-র আবেদনের ভিত্তিতে পরোয়ানা জারি করে। যাতে কাসকারকে জেল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে ইডি। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে কাসকারকে গত ২০১৭ সালে হুমকি দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে থানে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার পর থেকে থানে জেলেই ছিলেন কাসকার।
প্রসঙ্গত, ইডি দাউদ ইব্রাহিম, ইকবাল মির্চি, ছোটা শাকিল, দাউদের বোন হাসিনা পারকার এবং জাভেদ চিকনার বিরুদ্ধে হাওয়ালা চক্র চালানোর অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, তোলাবাজি, মাদক পাচার, সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে প্রচুর টাকা হাওয়ালা চক্রে পাচার হয়েছে। মুম্বইয়ের নাগপাড়া এবং ভিন্ডি বাজার এলাকায় বহু অবৈধ কাজকর্ম চালায় এই গ্যাং।
আরও পড়ুন হাওয়ালা চক্র: মুম্বইয়ে দাউদ ঘনিষ্ঠদের বাড়ি-অফিসে ইডি-র তল্লাশি
ইডি এর আগে মুম্বইয়ের ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। তার মধ্যে কাসকার, ছোটা শাকিলের শ্যালক সেলিম ফ্রুট এবং হাসিনা পারকারের ছেলের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এই চক্রের সন্ধানে সেলিম ফ্রুটকে জেরা করে ইডি।
আরও পড়ুন ‘মুম্বই বিস্ফোরণে দোষীদের পাঁচতারা আতিথেয়তা’, পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের
এনআইএ- নতুন করে গত মাসে ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তার পর থেকেই দাউদের গ্যাংয়ের পিছনে পড়েছে ইডি। দাউদ এবং তাঁর বহু সঙ্গীর নাম এনআইএ-র খাতায় রয়েছে ভারতে নাশকতামূলক এবং হাওয়ালা চক্র চালানোর অভিযোগে। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকদের মধ্যে অন্যতম।