কানায় কানায় পূর্ণ হিউস্টনের সভা। সামনে বসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মঞ্চে হলুদ পাঞ্জাবি ও কালো ডোরাকাট জহর কোট পরে বক্তব্য রাখছেন মোদী। তাঁর এক একটি বাক্য শেষ হতে না হতেই, তুমুল হাততালি। মাঝে মঝ্যেই উঠছে 'মোদী মোদী' স্লোগান। এমনই আবহকে কাজে লাগিয়ে নাম না করে হিউস্টনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদ ও তার মদতদাতাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দিলেন।
শুরু করেছিলেন নিজস্ব ঢঙে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের কথা বলে। সংবিধানের ওই ধারাকে 'ফেরায়ওয়েল' দেওয়া হয়েছে বলে অনাবাসী ভারতীয়দের মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, '৩৭০ ধারা উপত্যাকার উন্নয়ন ব্যাহত করেছে বিগত ৭০ বছর ধরে। এই ধারার সুবিধা নিয়েই বেড়েছে সন্ত্রাসবাদ ও বিছিন্নতাবাদের মত বিষয়গুলি।' মোদীর কথা শেষ হওয়া মাত্রই সভাজুড়ে করতালির বন্য। মোদীর মুখে স্বস্তি মাখানো হাসি।
আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য দায়ী নেহরু: অমিত শাহ
প্রধানমন্ত্রী মোদী বাগ্মী। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রচার করলেন নিজের ক্যারিশ্মা। সংসদের উচ্চ কক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন দুই তৃতীয়াংশ সাংসদ। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন নমো।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা কর্তাকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা! আজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন রাজীব
এতক্ষণ ছিল পটভূমি রচনার প্রয়াস। তারপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই চোয়াল শক্ত করলেন মোদী। প্রতিবেশীকে আক্রমণেও অতীতেরর উদাহরণ তুলে ধরলেন। ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তি উড়িয়ে বললেন, 'যাঁরা নিজের দেশকে সামলাতে পারেন না তাঁরা আমার ভারতের ঘটনা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে।' এখানেই শেষ নয়। এক সূত্রে গাঁথেন সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর শিকার ভারত ও আমেরিকাকে। তাঁর কথায়, 'আমেরিকার ৯/১১ বা মুম্বাইয়ের ২৬/১১ এর হামলার চক্রান্তকারীরা কোথায় ছিল? একটি দেশেরই নাম উঠে আসবে এক্ষেত্রে।' তারপরই, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, 'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটাই সেরা সময়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব সময় এই লড়াইয়ে রয়েছেন।' প্রেসিডেন্টের মুখে তখন সম্মতির ভঙ্গি।
তার আগে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে ব্যাট ধরেন মোদী। বললেন, “অব কী বার, ট্রাম্প সরকার।” অর্থাৎ দ্বিতীয় দফার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের পক্ষে আগাম সওয়াল করে ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন মোদী। এনআরজি স্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক দর্শকের উদ্দেশে মোদী আরও বলেন, তিনি ট্রাম্পের “নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, আমেরিকার জন্য উদ্দীপনা, প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের জন্য চিন্তা, এবং আমেরিকাকে আরও একবার স্বমহিমায় উজ্জ্বল করার দৃঢ় প্রত্যয়ের” জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করেন।
Read the full story in English