Covaxin: কোভ্যাক্সিন টিকাতে কি সদ্যোজাত বাছুরের রস রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোস্টের সত্যতা উড়িয়ে দিয়ে প্রকৃত তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও ভারত বায়োটেক। বুধবার তারা জানিয়ে দেয়, কোভ্যাক্সিন টিকা ফাইনাল প্রোডাক্টে এমন কিছু থাকে না। তবে টিকা প্রস্তুতের সময় এই জিনিস ব্যবহার করা হয়।
মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্যগুলিকে বিকৃত করে ভুল ভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিনে সদ্যোজাত বাছুরের শরীর নিঃসৃত রস রয়েছে। যার ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সদ্যোজাত বাছুরের রস ভেরো কোষের বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। সারা বিশ্বেই ভেরো কোষের বৃদ্ধিতে এই জিনিস ব্যবহৃত হয়।
ভেরো কোষ ভ্যাকসিনের তৈরির সময় কোষের প্রাণবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। কয়েক দশক ধরে এই পদ্ধতিতে পোলিও, রেবিস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের টিকা তৈরি করা হয়। বৃদ্ধির পর ভেরো কোষগুলি জল এবং রাসায়নিক দিয়ে অনেক বার ধুয়ে নেওয়া হয় যাতে তাতে কোনও ভাবে আর সদ্যোজাত বাছুরের রস না থাকে।
আরও পড়ুন কোভ্যাকসিনের দামে আপত্তি ভারত বায়োটেকের
এরপর সেই কোষগুলিকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংক্রমণ করানো হয়। এটাকে বলে ভাইরাল গ্রোথ। সেইসময় ভেরো কোষ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ভাইরাসও নির্মূল হয়ে যায় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মরা জীবাণুকে চূড়ান্ত টিকা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে কোনও সদ্য়োজাত বাছুরের রস ব্যবহার হয় না বলে দাবি মন্ত্রকের।
আরও পড়ুন টিকা নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! অ্যালার্জির কারণে ভারতে প্রথম মৃত্যু এক বৃদ্ধের
কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধী টুইট করে দাবি করেছেন, সরকার স্বীকার করেছে কোভ্যাক্সিনে বাছুরের রস রয়েছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে মন্ত্রক। আরও একটি বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, কোষ তৈরির কাজে সদ্যোজাত বাছুরের রস ব্যবহার করা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন