‘দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশি হলেই নোবেল পাওয়া যাচ্ছে’, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা বঙ্গসন্তান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এমন আলটপকা মন্তব্য করে বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এবার এই মন্তব্যের সূত্র ধরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদককে তীব্র শ্লেষ ছুড়ে দিলেন নোবেলজয়ীর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে নোবেল পাওয়ার জন্য রাহুল সিনহাকে বিদেশিনীকে বিয়ে করার প্রস্তাবও অভিজিৎ-মাতা নির্মলাদেবীর। তবে এস্থারের (অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান স্ত্রী) মতো কোনও বিদেশিনীকে রাহুল পাবেন কিনা (বিবাহের জন্য) সে বিষয়ে শ্লেষাত্মক সংশয় প্রকাশ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি ভাবনায় দল থাকে না: নোবেলজয়ী অভিজিৎ
ঠিক কী বলেছেন নোবেলজয়ীর মা?
সংবাদমাধ্যমে নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘তাঁরা (রাহুল সিনহা-সহ যাঁরা মনে করছেন দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশিনী হওয়ায় নোবেল প্রাপ্তি ঘটে) যদি এটা করে দেখান ভাল তো! অনেক বেশি নোবেল আসবে তাহলে! এখানে বেশি নোবেল এলে তো আমরা খুশি হব’’। এরপরই রাহুল সিনহাকে কটাক্ষের সুরে নির্মলাদেবী বলেন, ‘‘খুব মজার কথা। তিনিও (রাহুল সিনহা) আর একটা বিয়ে করুন। বিদেশিনীর তো অভাব নেই। এস্থারের (অর্থনীতিতে এ বছর অভিজিতের সঙ্গেই নোবেলজয়ী তথা অভিজিতের বর্তমান স্ত্রী এস্থার ডাফলো) মতো মেয়ে পাবে বলে বলছি না। তবে যাঁকে পাবে, তাঁকেই করুক। তাতে যদি নোবেল পাওয়া যায়! এটা কোনও বলার মতো বিষয় হল!’’
আরও পড়ুন: ‘নোবেলজয়ী অভিষেকবাবু’, মমতার মন্তব্যে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বেলাগাম মন্তব্য করেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশি হন, মূলত তাঁরাই নোবেল পাচ্ছেন। নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা ডিগ্রি কিনা জানি না’’।
আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী অভিজিতের নাম বিতর্কে মুখ খুললেন ‘মা’
অন্যদিকে, অভিজিতকে যেভাবে নিশানা করছেন বিজেপি নেতারা, সে প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ীর মা। তিনি বলেন, ‘‘যা খুশি বলুক ওঁরা। আমরা তো চাইছি, যেন সবার বলার স্বাতন্ত্র্য থাকে। সবার বলার স্বাধীনতা থাকুক, এটাই তো আমাদের গণতন্ত্রের কাঠামো’’। অন্যদিকে, অভিজিৎ 'বামপন্থী মতাদর্শের' বলে মন্তব্য করেছেন মোদীর মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এ প্রসঙ্গে অভিজিতের মা বলেন, ‘‘ও কোনও দলের সদস্য নয়, এটা আমি জানি। অনেকবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়েছে। বামপন্থী না দক্ষিণপন্থী এভাবে তকমা সেঁটে দেওয়া ঠিক নয়’’।