২০১০ এর পদ্ধতি মেনেই এনপিআর লাগু করতে হবে। কেন্দ্রের মোদী সরকারকে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন এনডিএ শরিক জেডিইউ-এর প্রধান নীতীশ কুমার।
দারভাঙ্গায় রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নীতীশ বলেন, 'বিহারের মুখ্যযমন্ত্রী পদে আমি যতদিন রয়েছি ততদিন কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনও অন্যায় হতে দেব না। রাজ্যে এনআরসি হবে না। আর এনপিআর করতে হবে ২০১০ সালের পদ্ধতি মেনেই। বিভেদমূলক কোনও নীতী মানা হবে না। এটাই রাজ্য সরকারের অবস্থান।' সব ধর্মের মানুষকে একসহ্গে মিলেমিশে থাকার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘এনপিআরে কোনও নথি লাগবে না’, বড় ঘোষণা মোদী সরকারের
এনপিআর-এ উল্লেখিত, আবেদনকারীকের অভিভাবকদের জন্মস্থান ও দিনক্ষণ, শেষ বাড়ির ঠিকানা জানাতে হবে। যা ঘিরেই সরব বিরোধী শিবির। এনপিআর-এ এই প্রশ্নগুলি নয়া সংযোজন। কিন্তু, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রশ্ন উঠল এনপিআর-র বর্তমান প্রশ্ন বিন্যাস নিয়েই। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য জানিয়েছিলেন, ভিভাবকদের জন্মস্থান ও দিনক্ষণ, শেষ বাড়ির ঠিকানা জানানোর বিষয়টি ঐচ্ছিক।
আরও পড়ুন: এনপিআর ও এনআরসি আলাদা বটে, তবে…
আগামী ১৫-২৪ মে বিহারে এনপিআর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চলতি বছরের ৪টা জানুয়ারি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেছিলেন যে, 'তিনটি নতুর প্রশ্ন আনপিআর-এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। রাষ্ট্রের তরফে নতুন কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে তাতে আপত্তির কী রয়েছে। তবে এইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বিষয়টি ঐচ্ছিক।'
চলতি মাসেই ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিহারের জমি ও রাজস্ব দফতরের তরফে চিঠি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের এনপিআর-র জন্য প্রশ্নাবলির তালিকা পাঠানো হয়নি বলে চিঠিতে জানানো হয়। এনপিআর ফর্মে রূপান্তরকামীদের জন্য একটি জায়গা রাখার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়। ২০১৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর বিহার সরকার এনপিআর বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন