Advertisment

GOOGLE DOODLE: রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিনে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল গুগল। এই গুগল ডুডলটি এঁকেছেন কানাডার টোরোন্টোর এক ইউএক্স ডিজাইনার বীণা মিস্ত্রি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
raja rammohon roy

রাজা রামমোহন রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ্য গুগল ডুডলের।

একসময় সনাতনী ধর্মে স্বামীনিষ্ঠার প্রমাণ দিতে নারীদের চিতার আগুনে মরণঝাঁপ দিতে হত। সমাজের সেই ব্যাধিকে দূর করে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। যাঁর দৃঢ়তা, জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে সমাজের কোণে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার দূর হয়েছিল, যাঁর হাত ধরে নবজাগরণের মুখ দেখেছিল এ সমাজ, সেই সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিনে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল গুগল। মঙ্গলবার রাজা রামমোহন রায়ের ২৪৬ তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁরই প্রতিকৃতি ফুটে উঠল গুগলের হোমপেজে।

Advertisment

এই গুগল ডুডলটি একেঁছেন কানাডার টরোন্টোর এক ইউএক্স ডিজাইনার বীণা মিস্ত্রি।

আরও পড়ুন, আজ গুগল ডুডলে হিন্দি ভাষার সাহিত্যিক মহাদেবী ভার্মা

হুগলি জেলার রাধানগরে জন্মেছিলেন রামমোহন রায়। সংস্কৃত ভাষার পাশাপাশি পার্সি, আরবিতেও শিক্ষালাভ করেছিলেন তিনি। বাবার মৃত্যুর পর ১৮০৩ সালে মুর্শিদাবাদে চলে আসেন রামমোহন রায়। সেসময়ই প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই ‘তুহফত-উল-মুহাহিদ্দিন’। প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যের চর্চার পাশাপাশি তন্ত্রধর্ম সম্পর্কেও বিপুল জ্ঞান অর্জন করেন। হরিহরানন্দ তীর্থস্বামীর সহযোগিতায় তিনি অধ্যয়ন করেন তন্ত্রধর্ম সম্পর্কে। ইংরেজির পাশাপাশি কল্পসূত্র ও জৈন গ্রন্থ নিয়েও চর্চা করেন তিনি। ইউরোপের রাজনীতি নিয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল রাজা রামমোহন রায়ের।

১৮১৪ সালে কলকাতায় পাকাপাকি ভাবে থাকা শুরু করেন রাজা রামমোহন রায়। পরের বছর, ১৮১৫ সালে আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এরপর ১৮২৮ সালে তাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠে ব্রাহ্ম সমাজ।

আরও পড়ুন, মৃণালিনী সারাভাইয়ের জন্মশতবর্ষে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাল গুগল

google doodle
Advertisment