/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/rajeev-1.jpg)
রাজীব কুমার
সারদা কেলেঙ্কারির জামিন বাতিল মামলায় সাময়িক স্বস্তি আইপিএস রাজীব কুমারের। এই মামলার শুনানি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের জামিন বাতিলের জন্য সিবিআইয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে।
Supreme Court adjourns for November 29, the appeal filed by Central Bureau of Investigation (CBI) seeking cancellation of bail granted by the Calcutta High Court to former Kolkata Police Chief, Rajeev Kumar, in the Saradha chit fund scam case. pic.twitter.com/dly01igzRI
— ANI (@ANI) November 25, 2019
এর আগে রাজীব কুমারের জামিন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ধাক্কা খায় সিবিআই। সারদা চিটফান্ড মামলায় ১লা অক্টোবরের রায়ে ১লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে রাজীব কুমারের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের ফলে সারদা চিটফান্ড মামলায় কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়, রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। এছাড়া, রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে সিবিআই-কে। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে রাজীব কুমারকে হাজিরা দিতেই হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। পাসপোর্ট জমা রাখার-ও নির্দেশ দেওয়া হয় গোয়েন্দা প্রধানকে।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে রাজীব কুমারের আগাম জামিন মঞ্জুর
এর পরে সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। রাজীব কুমারের জামিন বাতিলের আর্জি জানানো হয়৷ শীর্ষ আদালতে পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন দায়ের হয় এই মামলা, যার শুনানি হয় আজ শীর্ষ আদালতে৷
সারদা মামলায় বিভিন্ন আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে যে, রাজীব কুমার ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারির তদন্তে সহযোগিতা করেননি৷ তিনি নিজে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর প্রধান থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করেছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়৷ এর আগে, হাইকোর্ট রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে ওই আইপিএস-কে জামিনের আবেদন নিয়ে আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দুই আদালতেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। আইনি লড়াইতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার।