Ratan Tata tops Google search: টাটাগোষ্ঠীর শিল্পসাম্রাজ্যকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে টেক্কা দিয়েছিলেন অন্যান্য শিল্পপতিদের। আবার দান-ধ্যান করে টেক্কা দিয়ে গিয়েছেন বহু বিশিষ্ট সমাজসেবীকেও। তাঁর মৃত্যুর পর গুগলে রতন টাটার জন্য সার্চ যেভাবে লাফ দিয়ে বাড়ল, তাতে বোঝা গেল যে জনপ্রিয়তাতেও তিনি অনেককে টেক্কা দিলেন মৃত্যুর পরও।
রুটিন চেকআপ করাতে রতন টাটা ভর্তি হয়েছিলেন মুম্বইয়ের বেসরকারি ব্রিচ ক্যান্ড হাসপাতালে। সেখানেই বুধবার তাঁর অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে সেই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অশীতিপর এই শিল্পপতি।
হুড়মুড়িয়ে বাড়ল গুগল সার্চ
৮৬ বছরের এই শিল্পপতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই, খবরটা সত্যি কি না, জানার জন্য গুগল সার্চ তুঙ্গে ওঠে। গুগল ট্রেন্ডস (trends.google) অনুযায়ী, গত ১৫ ঘণ্টায় রতন টাটাকে নিয়ে ৫০ লক্ষবার গুগল সার্চ হয়েছে। যা সাধারণত তাঁকে নিয়ে যতবার গুগলে সার্চ হয়, তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্লা দিয়ে তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকজ্ঞাপনের ঘটনাও বাড়তে শুরু করে। ২০০০ সালে রতন টাটা পদ্মভূষণ পান। যা ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। ২০০৮ সালে পান পদ্মবিভূষণ। যা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান।
রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা সংস্থায় যোগ দেন। ১৯৯১ সালে সেই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে জেআরডি টাটার স্থলাভিষিক্ত হন। তাঁর জমানায় টাটা গ্রুপ- টেটলি, জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং কোরাস সংস্থাকে অধিগ্রহণ করেছিল। ভারতের টাটা গোষ্ঠীকে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা শিল্পগোষ্ঠীতে পরিণত করেছিলেন।
আরও পড়ুন- ৩৩.৭ লক্ষ কোটি টাকার শিল্পসাম্রাজ্য, তবুও ধনীর তালিকায় দেখতে চাননি নিজেকে, কত সম্পত্তি রতন টাটার?
রতন টাটার মৃত্যুতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। রাজনীতি থেকে শিল্প, সমাজসেবা থেকে সংস্কৃতি কিংবা খেলা- সব জগতেই তাঁর ছিল অবাধ আর্থিক সহযোগিতা। যার ফলে, ভারতীয় সমাজের নানা ক্ষেত্রেই রতন টাটা কার্যত প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। সেই কারণেই অমিতাভ বচ্চন থেকে রজনীকান্ত, নরেন্দ্র মোদী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকার থেকে সৌরভ গাঙ্গুলি- সমাজের সর্ব বিভাগের তারকারা, এই বিশিষ্ট শিল্পপতির প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন।