Ratan Tata Net Worth: শিল্পপতি হিসেবে তিনি ছিলেন সফল। শিল্পপতি পরিবারের ছেলে হয়ে তিনি পারিবারিক ব্যবসাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন চূড়ান্ত সীমায়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর সংস্থার ব্যবসা রয়েছে। সেখানে তাঁদের সংস্থা নথিবদ্ধ রয়েছে। বুধবার টাটা সন্সের সেই প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা, ৮৬ বছর বয়সে মারা গেলেন। মুম্বইয়ে ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন রতন টাটা।
গত ৭ অক্টোবর তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বয়সজনিত রুটিন চেক-আপের জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীন অসুস্থতা বাড়ে। তারপরই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই শিল্পপতি। গত ৭ অক্টোবর যখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, সেই সময় তিনি একটি বিবৃতি জারি করেছিলেন। সেই সময়ই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর শরীর ভালো আছে। অথচ, তার দু'দিন পর ৯ অক্টোবর তিনি প্রয়াত হলেন।
Thank you for thinking of me 🤍 pic.twitter.com/MICi6zVH99
— Ratan N. Tata (@RNTata2000) October 7, 2024
বিরাট মাপের শিল্পপতি হলেও, নিজেকে তিনি ধনীদের তালিকার শীর্ষে দেখতে চাননি। বরং, আয়ের একটা বড় অংশই দান করতেন সেবামূলক কাজে। ১৯৯১ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি টাটা গ্রুপের দায়িত্ব সামলেছেন। তার আমলে ভারতীয় গৃহস্থালি থেকে শুরু করে বিমান, সবক্ষেত্রেই টাটা কোম্পানির নাম ছড়িয়ে পড়েছিল। এই গ্রুপের শতাধিক কোম্পানি আইনে নথিভুক্ত এবং অনথিভুক্ত সংস্থা আছে। তারপরও ফোর্বসের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রতন টাটার নাম রয়েছে পিছনের দিকে।
একনজরে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে ধনীরা
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ অম্বানি | সম্পত্তির পরিমাণ ১১৯.৫ বিলিয়ন ডলার। |
গৌতম আদানি অ্যান্ড ফ্যামিলি | সম্পত্তির পরিমাণ পরিমাণ ১১৬ বিলিয়ন ডলার। |
সাবিত্রী জিন্দাল অ্যান্ড ফ্যামিলি | সম্পত্তির পরিমাণ পরিমাণ ৪৩.৭ বিলিয়ন ডলার। |
শিব নাদার | সম্পত্তির পরিমাণ ৪০.২ বিলিয়ন ডলার। |
দিলীপ সাংভি অ্যান্ড ফ্যামিলি | সম্পত্তির পরিমাণ ৩২.৪ বিলিয়ন ডলার। |
টাটাদের সংস্থার মোট ব্যবসার পরিমাণ ৩৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু, তার মূল মালিক হয়েও প্রয়াত রতন টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৩৮০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। কারণ, রতন টাটা বহু অর্থ দান করতেন। বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে তিনি দান করতেন এই সব অর্থ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন- রতন টাটার প্রয়াণ, ঠিক কতটা ক্ষতি হল ভারতীয় শিল্প এবং সমাজের?
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে রতন টাটা তাঁর আয়ের একটা বড় অংশ দিয়ে দিতেন টাটা ট্রাস্টে। টাটা ট্রাস্টের মাধ্যমে অভাবী মেধাবীদের জেএন টাটা এনডাউমেন্ট, স্যার রতন টাটা স্কলারশিপ এবং টাটা স্কলারশিপের মাধ্যমে তিনি সাহায্য করতেন। ২০০৪ সালের সুনামি থেকে করোনা অতিমারি, সব ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে আর্থিক সাহায্য করেছেন এই শিল্পপতি।