দিল্লির গণধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আবেদন খারিজ করার সুপারিশ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৬ সালে ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার ব্যক্তির এক জনের আবেদন খারিজ করার সুপারিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পাঠানো হল দিল্লি সরকারের কাছে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। 'নিষ্ঠুর বর্বরতা'র মতো ঘটনার জন্য শাস্তি মুকুবের কোনো জায়গাই নেই, এই মর্মেই দোষীদের আবেদন খারিজ করে দিল্লি সরকার। এরপরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ‘পকসো আইনে ধর্ষণে অভিযুক্তদের ক্ষমা করা অনুচিত’, কড়া বার্তা রাষ্ট্রপতির
দু'দিন আগেই এই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার সুপারিশ জানান লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল। পরবর্তীতে এই আবেদন বিবেচনার এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, দোষীদের মধ্যে একজনের ক্ষমার আবেদন নাকচ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সংবাদসংস্থা এএনআই-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষিতার পরিবারের তরফে রাষ্ট্রপতির দফতরের কাছে এই দাবি জানানো হয় যে, "ক্ষমার আবেদন পাঠানোর মধ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ড এড়ানো এবং বিচারপদ্ধতিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: ‘লজ্জা’! হায়দরাবাদ-উন্নাও-মালদার ঘটনায় সরব মমতা
প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ তিহার জেল কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করার জন্য দোষীদের সাত দিন সময় দেয়। যদিও এই মামলার যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে, এমনটাও বলা হয়েছিল। এরপর চারজনের মধ্যে কেবল একজন ক্ষমার আবেদন করেন, যা পরবর্তীতে দিল্লি সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে হার মানলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা, দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু
এই আবেদনটি খারিজের সুপারিশ করে দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, "আবেদনকারী একটি নৃশংস এবং জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ী। উদাহরণস্বরূপ শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ থেকে বিরত রাখা যাবে। এখানে ক্ষমার আবেদনের কোনও জায়গাই নেই। বরং আবেদন খারিজের সুপারিশ করা হয়েছে।" প্রসঙ্গত, পয়লা ডিসেম্বর, ২০১২ সালে দিল্লির একটি চলন্ত বাসে ছয়জন ব্যক্তি এক বছর তেইশের মহিলাকে গণধর্ষণ করে। ২২ ডিসেম্বর মারা যান ওই ধর্ষিতা। এই ঘটনার পরই উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ।
Read the full story in English