Saif Ali Khan Attack News: সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মূল হামলাকারীকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল মুম্বই পুলিশ
Saif Ali Khan Attack news: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর প্রাণঘাতী হামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মুম্বই পুলিশের। জানা গিয়েছে, সইফ আলি খানের উপর হামলায় মূল অভিযুক্ত ধৃত শরিফুল বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তাঁর বিরুদ্ধে খুন-ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক। গ্রেফতারি এড়াতে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালান। তাহলে কি স্রেফ চুরি-ডাকাতি নয়, আরও ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য নিয়ে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিলেন শরিফুল? উঠছে প্রশ্ন।
Advertisment
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, শরিফুলের বিরুদ্ধে ঢাকা এবং নলছিটি থানায় খুন-ছিনতাইয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৭ সালে এক বাইক চালককে খুন করে গা ঢাকা দেন শরিফুল। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গ্রেফতারি এড়াতে দেশ ছেড়ে পালান শরিফুল। ভারতে চোরাপথে ঢোকেন তিনি। সেকথা জানত না পরিবার। বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের দাবি, সেফের উপর হামলাকাণ্ডে টেলিভিশনে শরিফুলের ছবি দেখে তাঁরা চিনতে পারেন।
এদিকে, কীভাবে সইফের উপর হামলা চালিয়েছিল অভিযুক্ত শরিফুল? সেই তদন্তে নেমে অপরাধ পুনঃনির্মাণে মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগে অভিনেতার বান্দ্রার বাড়িতে অভিযুক্তকে নিয়ে হাজির হয় পুলিশ। যেখানে শরিফুল পুলিশকে দেখান কীভাবে তিনি সেদিন রাত ১.৩৩ মিনিট থেকে ২.৩৩ মিনিটের মধ্যে অপরাধ সংগঠিত করেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে ন্যাশনাল কলেজ বাস স্টপে নিয়ে যায়। তারপর বান্দ্রা রেল স্টেশনেও তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে তাঁকে নিয়ে বান্দ্রা থানায় ফিরে আসেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সেই রাত্রে সইফের বাড়িতে প্রবেশের সময় অভিযুক্ত শরিফুলকে কেন কোনও ক্যামেরায় দেখা যায়নি, তাহলে কীভাবে সে সইফের বাড়িতে পৌঁছেছিল সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোথাও কী সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল? পুলিশ সেটারও তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের ১৯টির বেশি আঙুলের ছাপও পাওয়া গিয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে শরিফুল ইসলাম আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর কাছ থেকে কোনও প্রকার ভারতীয় নথি উদ্ধার হয়নি। যিনি ২০২৪ সালে মুম্বইতে আসেন এবং জিতেন্দ্র পান্ডে নামে এক ব্যক্তি তাঁকে একটি ভাড়া বাড়ি জোগাড় করে দেন।
পাশাপাশি একটি হাউস কিপিং কোম্পানিতে চাকরিরও ব্যবস্থা করে দেন। শরিফুলের বিরুদ্ধে তাঁর নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস রাখা এবং ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগ রয়েছে। সইফের উপর হামলার ঘটনায় বিদেশি ষড়যন্ত্রের দিকটিও পুলিশ তদন্ত করছে।