নির্ভয়াকাণ্ডে দুই ফাঁসির আসামির কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি ১৪ জানুয়ারি

৭ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীকেই মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের দোষীরা হলো পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুর সিং।

৭ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীকেই মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের দোষীরা হলো পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুর সিং।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দু’জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানির দিন ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৪ জানুয়ারি বিনয় শর্মা এবং মুকেশে সিংয়ের রুজু করা কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি হবে বিচারপতি এন ভি রমনা, অরুণ মিশ্র, আরএফ নরিম্যান, আর ভানুমতি এবং অশোক ভূষণের বিশেষ বেঞ্চের সামনে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

আরও পড়ুন: কী কথা হল মোদীর সঙ্গে? খুলে বললেন মমতা

Advertisment

মৃত্যুসাজাপ্রাপ্ত বিনয় কুমার শর্মা তার আইনজীবী এ পি সিং-এর মাধ্যমে এই আবেদন করে দেশের শীর্ষ আদালতে। বিনয় শর্মা বলে যে তার অপরিণত বয়স, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, অসুস্থ মা-বাবা, পরিবারের নির্ভরশীলের সংখ্যা, কারাগারে তার ভালো আচরণ এবং উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি আদালতে। যা ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থতা।

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে চালু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন

প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীকেই মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের দোষীরা হলো পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুর সিং। ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহার জেলে তাদের ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরেই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্তের অন্যতম বিনয় শর্মা। এর আগেও বিনয় শর্মার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। যদিও অন্তিম বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জিও জানাতে পারে এই সাজাপ্রাপ্তরা।

আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীরই ফাঁসি ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায়

Advertisment

এদিকে তিহার জেলে শুরু হয়েছে ফাঁসির তোড়জোড়। তিহার কর্তৃপক্ষ ফাঁসুড়ে চেয়ে মিরাটে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই উত্তরপ্রদেশের জেল কর্তৃপক্ষ বেছে নেন সিন্ধি রাম ওরফে পবন জল্লাদকে (৫২)। দোষীদের ফাঁসি দিয়ে দায়িত্ব পূরণের সঙ্গেই ভিন্ন এক কর্তব্যও পালন করতে চান পবন। তিনি বলেন, "কাজের জন্য যে অর্থ পাব তা দিয়ে সহজেই ছোট মেয়ের বিয়ে দিতে পারব। জানতে পেরেছি, সরকার প্রতি জনের ফাঁসির জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেবে। অর্থাৎ চারজনের জন্য পাব ১ লক্ষ টাকা। যা দিয়ে মেয়ের বিয়ের পরও ধার দেনা মেটানো সম্ভব।"

Read the full story in English

delhi supreme court national news