Sheikh Hasina: 'সেদিন আমি গুলি চালালে লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে.....!' বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার 'মাস্টার মাইন্ড'কে চেনালেন হাসিনা
যখন থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে তখন থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর চলছে বর্বোরোচিত হামলা গণহত্যার ঘটনা। কট্টোর মৌলবাদীরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে।
এবার বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে কড়া নিশানা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দুদের গণহত্যা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের 'টার্গেট' করার অভিযোগ করেছেন।
নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে কার্যত ভাষণ দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা মন্দির, গির্জা এবং ধর্মীয় সংগঠন ইসকনে হামলার জন্য মহম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেন। হাসিনা বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আসলে মহম্মদ ইউনূস, যিনি ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গণহত্যার সাথে জড়িত। সেই এসব হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।
হাসিনা আরও বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে হত্যা করা হচ্ছে। দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আজ শিক্ষক-পুলিশ সবাই আক্রান্ত ও নিহত হচ্ছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের টার্গেট করা হচ্ছে। গির্জা ও বহু মন্দিরে হামলা হয়েছে। এখন কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে?
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তাঁকেও হত্যার পরিকল্পনা ছিল। হাসিনা বলেন, তিনি 'গণহত্যা' চান না বলেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন। হাসিনা আরও বলেন, 'আমি যদি ক্ষমতায় থাকতে চাইতাম তাহলে গণহত্যা হতো। যখন মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি চলে যাব। আমার নিরাপত্তাকর্মীরা যদি গুলি চালাতো, তাহলে অনেক মানুষ নিহত হত এবং লাশগুলো গণভবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। আমি এটা চাইনি'।
উল্লেখ্য হিংসাত্মক ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। এরপর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সেদেশের দায়িত্ব নেয়।