ফের মনীষীর মূর্তি ভাঙার সাক্ষী রইলো দেশ। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙা হল স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্বামীজির ওই মূর্তিটি উন্মোচনের কথা ছিল। হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে পড়ুয়াদের অন্দোলন চলছে জেএনইউতে। তারই মাঝে এই নক্কারজনক কাজ কে বা কারা করলো সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুশারে, মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি তার পাদদেশে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় বেশ কিছু মন্তব্য লেখা হয়েছে। মূর্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাছে গেরুয়া কাপড়ে মোড়া ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফি বৃদ্ধির হার কমাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ
জেএনইউ ছাত্র সংসদ জানিয়েছে স্বামীজির মূর্তি ভাঙার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। প্রেস বিবৃতিতে ছাত্র সংসদের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোনও ধরনের গুন্ডামিকে সমর্থন করে না। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতদেরই দায়ী করা হয়েছে। তদন্তের দাবি জানিয়েছে পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাসের মধ্যে এই লজ্জাজনক কাজ নিয়ে মুখ খোলেনি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে উত্তাল হয় জেনইউ ক্যাম্পাস। কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় সোমবার ক্যাম্পাসের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। ওই দিনই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠান। সেখানে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু ও কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়মন্ত্রী মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। এরপর হস্টেল ফি কিছুটা কমানো হলেও থামেনি আন্দোলন। উপাচার্য মামিডালা জগদীশ কুমারের বিরুদ্ধে চলে স্লোগান, দেওয়াল লিখন।
Read the full story in English