৬০ ঘণ্টা পরেও তামিলনাড়ুর ৩ বছরের শিশুটিকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার, খেলতে খেলতে মুখখোলা পরিত্যক্ত একটি কূয়োয় পড়ে যায় সুজিত উইলসন। তারপর, এতটা সময় পেরিয়ে গেলেও পরিত্যাক্ত কুয়োর গভীর থেকে সুজিতকে তুলে আনতে পারেননি উদ্ধারকারী। শিশুটিকে উদ্ধারে পরিত্যাক্ত কুয়োর তিন মিটার দূরে আরেকটি গর্ত খোঁড়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও শিশু উদ্ধারে সফলতা মেলেনি।
প্রথম দিকে উদ্ধার কাজের জন্য গর্ত খোঁড়র কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয় ভাস্কর জানিয়েছেন, 'পাথুরে ভূমি হওয়ার কারণে মাটি কেটে উদ্ধার কাজ করতে দেরি হচ্ছে। তবে, আর উদ্ধার কাজ শেষের আর বেশি বাকি নেই।' সরকারি এর আধিকারিকের কথায় শিশুটি অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে সে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, পরিত্যাক্ত কুয়োর পাশে যে গর্তটি খোঁড়ার কাজ চলছে সেখান দিনে পাঁচ দমকল কর্মীকে শিশুটির কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় কিয়ার, ত্রস্ত ওমান উপকূল
শিশুটিকে উদ্ধারে প্রায় ২৫ জনের একটি দল কাজ করছে। গর্তের মধ্যে ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে ভাড়া করে তিনটে রোবটিকস ডিভাইস আনা হয়েছিল। সেগুলিও কাজে লাগেনি। এহেন পরিস্থিতিতে চেন্নাইয়ের এনডিআরএফের টিমের মুখাপেক্ষী হতে হয় উদ্ধারকারীদের।
শুক্রবার বিকেলে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি জেলার নাডুকাট্টুপাট্টি গ্রামে বাড়ির অদূরেই নিজেদের জমিতে বাবার সঙ্গে খেলছিল দু-বছরের সুরজিত্ উইলসন। সেখানেই ছিল ২৫ ফুট গভীর একটি পরিত্যক্ত কুয়ো। সেই কুয়োর মুখে খোলা ছিল। খেলতে খেলতে বেসামাল হয়ে চোখের নিমেষে ওই গভীর কূপে পড়ে যায় সুরজিত্। বাচ্চাটির বাবা তত্ক্ষণাত্ দমকলে খবর দেন। খবর যায় উদ্ধারকারী দলের কাছেও। গভীর ওই কূপ থেকে এখনও তাঁরা শিশুটিকে বের করে আনতে পারেননি।
Read the full story in English