থর মরুভূমিতে চলছে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ মহড়া। গত দু'মাস ধরে এই মহড়ায় সামিল ভারতীয় সেনার সুদর্শন বাহিনীর। দেশের পশ্চিম প্রান্তের বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে মরুভূমি। কাছেই ভারত-পাক সীমান্ত। সেখান থেকে যেকোনও সময় আক্রমণ আসতে পারে। যা প্রতিহত করতেই এই মহড়া বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে মরুভূমির মধ্যে ভারতীয় সেনার মহড়া ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিন্ধু নদীর কাছেই থর মরুভূমি। সেই কথা বিবেচনা করে এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে, 'সিন্ধু সুদর্শন'। মহড়ায় যোগ দিয়েছে ভারতীয় সেনার ৪০ হাজার সদস্য। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধে ব্যবহৃত সব ধরণের সমরাস্ত্র নিয়েই মহড়া চলছে। রয়েছে, অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার থেকে শুরু করে কামান, যুদ্ধে ব্যবহারের গাড়ি সহ সব ধরণের সমরাস্ত্র। সেনাকে এক্ষত্রে মহড়ায় সহায়তা করছে ভারতীয় বায়ু সেনা। থর মরুভূমির মধ্যেই এক কাল্পনিক রেখাকে সীমান্ত ভাব হয়েছে। সেখান থেকেই নকল শত্রুপক্ষ আক্রমণ চালাচ্ছে। মোকাবিলা করছে ভারতীয় সেনার সুদর্শন বাহিনী।
আরও পড়ুন: জমে পাথর জুস, ডিম, শাকসবজি, দেখুন সিয়াচেনে কীভাবে থাকেন ভারতীয় সেনারা
সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'আমরা এউ সুযোগে নিজেদের দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছি। একই সঙ্গে এই মহড়া শত্রু শিবিরের কাছে সতর্ক বার্তা-ও। মহড়ার ফলে সেনার প্রত্যেক স্তরের মূল্যায়ন হয়ে যাচ্ছে।' তাঁর ব্যাখ্যা, শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি ও ধ্বংসের কাজে কীভাবে সমরাস্ত্রকে কাজে লাগানো হবে তাও দেখে নেওয়া হচ্ছে এই মহড়র মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: বাড়ল খাবারের দাম, রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসে ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা
'সিন্ধু সুদর্শনে' ভারতীয় নৌসেনা ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে মহড়া চলছে। শত্রু আক্রমণ করলে কীভাবে এলাকা ছাড়তে হবে, বায়ু সেনা বাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন তা জওয়ানদের দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্য়হবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টার রুদ্র, রাতের ব্যবহারের চশমা ও ১৫৫ এমএম কেএম ভার্জা। মহড়ার অংশ হিসাবে,প্রায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশী শত্রুরা হানা দিচ্ছে। বাহিনী নিজেদের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে কীভাবে তা রুখবে মহড়ায় তা অনুশীলন করা হচ্ছে।
মহড়ায় দেখা যাচ্ছে, রকেট ও কামানের সাহায্য়ে প্রথমে বাহিনী শত্রু পক্ষকে নিশানা করে আক্রমণ করবে। পরে, সাঁজোয়া যানে করে বাহিনী আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে শত্রু শিবির ঘিরে ফেলে। পরবর্তীকালে, সেনা শত্রু পয়েন্টগুলি দখল করে। অর্থাৎ, আক্রমণ রোধ ও প্রতি আক্রমণের মাধ্যমেই শত্রু শিবিরকে ধ্বংস করা ভারতীয় সেনার লক্ষ্য।
Read the full story in English