৩৭০ ধারা রদ এবং জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর এই প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে যাবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫ জন সাংসদ। নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব সেরেছেন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, "প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সফর করবেন। তাঁদের এই সফরের মাধ্যমে জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ অঞ্চলের উন্নয়ন ও প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা করা ছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যে ভিন্নতা রয়েছে, তা বুঝতে পারবেন প্রতিনিধিদল।"
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলা, জখম ২০
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদে ভারতের 'জিরো টলারেন্স' নীতির ওপরই জোর দিয়েছেন। বৈঠকে পাকিস্তানের নাম না নিয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যারা সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি হিসাবে ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।"
আরও পড়ুন- এক মাস সমুদ্রে দিশেহারা অমৃত, জীবনযুদ্ধের কাহিনী হার মানাবে সেলুলয়েডকেও
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এবং পাক সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে অবহিত করা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাংসদদের। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ইউনিয়নের সদস্য বিএন ডান বলেন, "আমরা আগামীকাল জম্মু-কাশ্মীর যাব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি বলেছেন। কিন্তু আমরা সেখানে গিয়ে বিষয়টি দেখতে চাই। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমরা চাই সব জায়গায় শান্তি স্থাপন হোক।"
আরও পড়ুন, আইসিস প্রধান বাগদাদির মৃ্ত্যু হয়েছে, ঘোষণা ট্রাম্পের
উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম প্রধান তথা মার্কিন সেনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনকে কাশ্মীর সফরের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে মোদী সরকার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভ্যান হোলেন বলেন, "আমি কাশ্মীরে গিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম সেখানকার পরিস্থিতি। কিন্তু ভারত সরকার আমাকে সেই অনুমতি দেয়নি। আমরা এক সপ্তাহ আগে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে এখন সেখানে যাওয়ার জন্য সঠিক সময় নয়।"
ভ্যান হোলেন ভারতের সব রাজ্য পরিদর্শন করলেও জম্মু-কাশ্মীরে যাননি কখনই। মার্কিন সেনেটরের বক্তব্য, "আমি ভেবেছিলাম সেখানে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখব। আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হলো, যদি আপনার কাছে গোপন করার কিছু না থাকে তবে অনুমতি দেওয়া নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাকে যেতে না দেওয়ার পিছনে একটাই কারণ থাকতে পারে, যে ভারত সরকার সেখানে কী ঘটছে তা আমাদের দেখতে দিতে চায় না।"
Read the full story in English