Bangladesh Potato-Onion Trade: সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের জেরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েই চলেছে। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে ভারত বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই অবস্থায় পুরনো শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে ফের সখ্যতা বাড়াচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। পাকিস্তান থেকে চিনি আমদানির পর এবার আলু-পেঁয়াজও কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। যা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এতদিন চিনি, আলু, পেঁয়াজের জন্য ভারতের উপরই নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশ। এবার পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী বাংলাদেশ। যা উপমহাদেশে নয়া সমীকরণ তৈরি করছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বিকল্প সাপ্লায়ার হিসাবে পাকিস্তানের কথা আলোচনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। মন্ত্রণালয় এর পর সাপ্লায়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সম্পর্কিত অন্য সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আগামী নয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাংলাদেশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বিটিটিসি আলু এবং পেঁয়াজের দাম এবং জোগান স্বাভাবিক রাখার জন্য বিকল্প চিন্তাভাবনা করছে। আমরা বিকল্পগুলি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন 'আগে দেশ, পরে ব্যবসা', বাংলাদেশিদের জন্য এবার বন্ধ হল দার্জিলিংয়ের দরজাও
ভারত থেকে কী কী আমদানি করে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ বরাবরই আলুর জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে, পেঁয়াজ আসে ভারত এবং মায়ানমার থেকে। যদিও পাকিস্তান, চিন এবং তুর্কি থেকেও কিছু পেঁয়াজ কেনে বাংলাদেশ। ভারতের পেঁয়াজ আর বেশি দামে কেনার সামর্থ্য নেই, তাই সস্তায় পেঁয়াজ কিনতে পাকিস্তানের কথা ভাবছে তারা।
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ভারত আলু-পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় সাপ্লায়ার ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৭.২৪ লক্ষ টন পেঁয়াজ কিনেছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবর্ষে ছিল ৬.৭১ লক্ষ টন। যার জন্য বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন 'মনে মনে কট্টর হিন্দুত্ববাদ পুষে রাখেন মমতা', আগুনে আক্রমণ BNP শীর্ষ নেতার
ভারতের কাছ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলাদেশ ৩.৫ লক্ষ টন আমদানি করেছে। পাকিস্তান নয়া সাপ্লায়ার হলে আর্থিক দিক ছাড়াও রাজনৈতিক কারণও নজরে থাকবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। সেইসময়ে বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ ভারত-বিরোধিতারও অংশ হতে পারে।