Bangladeshi Tourists not allowed in Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য কলকাতার পর এবার দরজা বন্ধ হচ্ছে দার্জিলিংয়েও। পাহাড়ের কোনও হোটেলে আর বাংলাদেশিদের ঘর দেওয়া হবে না। সোমবার এমনই চরম সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, ব্যবসার ক্ষতি হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলাদেশিদের কোনও জায়গা হবে না। পড়শি দেশে অশান্তির পরিস্থিতি এবং ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
পথ দেখিয়েছিল কলকাতা এবং মালদা। এবার সেই পথে হাঁটল দার্জিলিংও। বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করার আভাস পাওয়া গিয়েছিল কয়েক দিন ধরেই। হলও তাই। হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠন সম্মিলিত ভাবে এই বয়কটের কথা ঘোষণা করেছে। গ্রেটা শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সোমবার জানানো হয়, দার্জিলিং পুলিশ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন হোটেল এবং তার বাইরেও যে সব হোটেল রয়েছে তারা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। ভোটাভুটি হয়েছে মত নিয়ে। যাতে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট গিয়েছে বাংলাদেশিদের বিপক্ষে।
মূলত, শীতের মরশুমে পাহাড়ে ভিড় বাড়তে থাকে। বাংলা তো বটেই, দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখন ভিড় করেন দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে। প্রতি বছর এই সময় গড়ে ৩০ হাজারের মতো বাংলাদেশি পর্যটক পাহাড়ে বেড়াতে আসেন। তাঁদের বয়কট করার সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও তা মেনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বলেছেন, দেশের থেকে বড় কিছু নয়।
আরও পড়ুন চিকিৎসার জন্য আর ভারত নির্ভরতা নয়, এবার এই দেশে ভিড় বাড়ছে বাংলাদেশিদের
কী বলেছে হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন?
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেছেন, 'বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়মের অধীনেই ভোটাভুটি হয়েছে। প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট বাংলাদেশিদের বিপক্ষে গিয়েছে।' তাই পাহাড়ের কোনও হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের জায়গা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, এই সিদ্ধান্ত যেন সবাই মেনে চলে। তা হচ্ছে কি না সেটা নজরে রাখা হবে। এমনকী স্টুডেন্ট বা মেডিক্যাল ভিসা দেখালেও কোনও বাংলাদেশিকে দার্জিলিংয়ে হোটেলে জায়গা দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন 'কলকাতা দখল করবে বলছে, চুপ থাকব ভাববেন না', বাংলাদেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
উজ্জ্বল ঘোষের বক্তব্য, 'ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের প্রতি কটূক্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদিন না ওই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ দুঃখপ্রকাশ করবে এবং ক্ষমা চাইবে তত দিন সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।'