'সঠিকও নয়, শংসায়িতও নয়', মার্কিন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) মন্তব্যর কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই অমিত শাহের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মন্তব্যর জবাব দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, "ইউএসসিআইআরএফের যে অবস্থান তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যে বিষয়ে কমিশনের জ্ঞান সীমিত এবং হস্তক্ষেপের কোনও আধিকার নেই, সেই বিষয়ে কমিশনের এমন পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য দুঃখজনক। নাগরিকপঞ্জি কিংবা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কখনই ভারতীয়দের থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না।"
আরও পড়ুন: ঠিক কীভাবে নাগরিকত্ব ‘সংশোধন’ করবে মোদী সরকার?
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পরই ‘ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনে’র অভিযোগে মার্কিন সরকারের কাছে অমিত শাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ জানায় মার্কিন কমিশন। লোকসভায় ক্যাব পাসের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএসসিআইআরএফের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “ক্যাবের মাধ্যমে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু ধর্মের উপর ভিত্তি করেই আইনি যোগ্যতামান নির্দিষ্ট করার মাধ্যমে মুসলিমদের এই ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ক্যাব আদতে ভুল পথে এগনোর জন্য এক ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ। ভারতের যে ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী সুমহান অতীত রয়েছে, এই বিল তার পরিপন্থী। ধর্মীয় বিশ্বাসের উর্ধে উঠে সমানাধিকারের যে দর্শন ভারতীয় সংবিধান সুনিশ্চিত করেছে, এই বিল সেদিক থেকেও বিপরীতধর্মী।” উল্লেখ্য, গুজরাট দাঙ্গার পর নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন মুলুকে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল সে দেশের সরকার।
আরও পড়ুন: বিজেপি-সেনা কাছাকাছি? ক্যাব সমর্থনে ইউটার্ন উদ্ধব বাহিনীর
ইউএসসিআইআরএফের তরফে টুইট করে বলা হয়, "আমাদের আশঙ্কা, নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরীক্ষা নিচ্ছে ভারতীয় সরকার, যা কি না কয়েক কোটি মুসলিমের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে। নাগরিকত্বের জন্য যে কোনও ধর্মীয় পরীক্ষা মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করে।” প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত আইন অনুসারে ধর্মীয় নিপীড়নের সম্মুখীন হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা হবে না এবং ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু বিলটিতে মুসলিমদের কোনও উল্লেখ নেই।
Read the full story in English