/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/26/GBbWrlAn2F06wgP6WTNV.jpg)
Begins from Yamunotri: যমুনোত্রী থেকে শুরু হয় চারধাম যাত্রা। (প্রতীকী ছবি)
Begins from Yamunotri: ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থযাত্রা হল চারধাম যাত্রা। প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত গ্রীষ্মকালে এই যাত্রায় অংশ নেন। চারটি প্রধান ধাম— যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ — ভ্রমণ করে পুণ্যফল লাভ করেন ভক্তরা। তবে প্রশ্ন রয়েছে, কেন চারধাম যাত্রা সর্বদা যমুনোত্রী থেকেই শুরু হয়?
আধ্যাত্মিক কারণ
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, যমুনোত্রী দেবী যমুনার উৎসস্থল। দেবী যমুনা মৃত্যুর দেবতা যমরাজের ভগিনী হিসেবে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, যমুনোত্রী থেকে যাত্রা শুরু করলে যাত্রীরা যমের ভয় থেকে মুক্তি পান এবং তাঁদের সমস্ত পাপ নষ্ট হয়ে যায়। যমুনোত্রীর জলে স্নান করলে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তির পথ প্রশস্ত হয় বলেই মনে করা হয়। এই ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে যমুনোত্রীকে চার ধাম যাত্রার প্রথম ধাপ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- সুযোগ পেলেই গরমে তরমুজ খাচ্ছেন! ফের ১টা কেনার আগে জানুন কী হতে পারে
ভৌগোলিক গুরুত্ব
যদি আমরা ভৌগোলিকভাবেও দেখি, যমুনোত্রী চারধাম রুটের পশ্চিমতম ধাম। রুট অনুযায়ী, যাত্রীরা প্রথমে যমুনোত্রী, তারপর গঙ্গোত্রী, এরপর কেদারনাথ এবং শেষে বদ্রীনাথ দর্শন করেন। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে এগিয়ে যাওয়ার এই পদ্ধতি প্রকৃতির নিয়ম ও ধর্মীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন- শুক্রের রাশি পরিবর্তন! মেষে প্রবেশে কাদের ভাগ্যে আসছে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি, আপনিও কি সেই দলে?
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
চারধাম যাত্রার (Char Dham Yatra) প্রচলন আদিগুরু শংকরাচার্যের সময় থেকেই শুরু হয়েছে। তাঁর সময় থেকেই নির্দিষ্ট রুট এবং শুরু করার নিয়মাবলি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন থেকেই যমুনোত্রীকে যাত্রার সূচনাস্থল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তীর্থযাত্রার সেই ধারাবাহিকতাই (history) এখনও বজায় রয়েছে।
আরও পড়ুন- মে মাসজুড়ে বাজবে বিয়ের সানাই, জেনে নিন এই মাসে বিয়ের শুভ দিনগুলো
ধর্মীয় বিশ্বাস
অনেক পুরাণ এবং ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, যাত্রার শুরুতে দেবী যমুনার আশীর্বাদ গ্রহণ করলে সমগ্র যাত্রাপথ মঙ্গলময় হয়। তাই দেবী যমুনার আরাধনা করে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যাতে যাত্রা সফল ও নির্ঝঞ্ঝাট হয়।
আরও পড়ুন- এই চারটে খাবার আপনার ডায়েটে রাখুন, ঋতু পরিবর্তনের রোগ ছুঁতেও পারবে না!
চারধাম যাত্রা শুধুমাত্র একটি ভ্রমণ নয়, এটি আত্মশুদ্ধির এবং মোক্ষলাভের এক পবিত্র চেষ্টা। যমুনোত্রী থেকে যাত্রা শুরু করে একজন ভক্ত নিজেকে শুদ্ধ করেন এবং ক্রমান্বয়ে উচ্চতর আধ্যাত্মিক স্তরে পৌঁছন। তাই ২০২৫ সালেও, ঐতিহ্যের অনুগামী হয়ে যাত্রা শুরু হবে যমুনোত্রী থেকেই। আপনিও যদি চারধাম যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে যাত্রার সূচনা যমুনোত্রী থেকে করাই প্রথা অনুযায়ী সর্বোত্তম হবে।