Guru Purnima 2025: গুরু পূর্ণিমা প্রতিবছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এটি এক বিশেষ দিন। এই দিনে শিক্ষার্থীরা তাঁদের গুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা বিশেষভাবে প্রকাশ করেন। গুরু শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার দূরকারী’, অর্থাৎ যিনি অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যান।
২০২৫ সালে, গুরু পূর্ণিমা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই তারিখে পালিত হবে। এবছর পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১০ জুলাই রাত ১:৩৬ মিনিটে এবং শেষ হবে ১১ জুলাই রাত ২:০৬ মিনিটে। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনি।
আরও পড়ুন- ঘরে রাখুন এই ৫ জিনিস, অর্থ ও সৌভাগ্য আসবে ঠিক যেন চুম্বকের মত
গুরু পূর্ণিমার আধ্যাত্মিক ভিত্তি
হিন্দু ধর্মমতে, গুরু পূর্ণিমা পালন করা হয় মহর্ষি বেদব্যাসের সম্মানে। তিনি মহাভারত এবং চারটি বেদের সংকলক। তাঁর জন্মদিনটি 'ব্যাসপূর্ণিমা' নামেও পরিচিত। তাঁর জন্মদিনটি গুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন হিসেবে স্থির করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- এই ১০টি বিরল প্রাণী কেবল ভারতেই পাবেন! পুরোটা জানলে আপনিও চাইবেন দেখতে
বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মমতে গুরু পূর্ণিমা
বৌদ্ধ ধর্মে, এটি সেই দিন যেদিন গৌতম বুদ্ধ সারনাথে তাঁর প্রথম ধর্মোপদেশ দিয়েছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জৈন ধর্মেও গুরুদের জ্ঞানদান এবং নির্দেশ দেওয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে দিনটি পালিত হয়।
আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে কাপড় শুকোচ্ছে না? এই ৫ ঘরোয়া টিপসেই ভেজা জামাকাপড় হবে একদম শুকনো!
গুরু কে?
প্রথাগত অর্থে গুরু বলতে শুধু স্কুল-কলেজের শিক্ষককেই বোঝায় না। জীবনের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম গুরু হলেন মা-বাবা। তাঁরা জীবনের পাঠ শেখান। আবার আধ্যাত্মিক গুরুরা ব্যক্তিকে আত্মজ্ঞানলাভ বা মোক্ষের পথে পরিচালিত করেন। এর পাশাপাশি, জীবনপথে যিনি উদ্বুদ্ধ করেন, তিনিও গুরু।
আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে বাইরে জল জমেছে, ঘরে কেঁচো-শামুক ঢুকছে? সহজে করুন সমাধান!
ভারতের বাইরেও পালন
ভারত ছাড়া নেপাল এবং ভুটানেও গুরু পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়। নেপালে এই দিনটি সরকারিভাবে 'শিক্ষক দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন- চুল পেকে যাচ্ছে? রাসায়নিক ছাড়াই ঘরে তৈরি এই হেয়ার কালার লাগান, রং ফিরবে, ঘন হবে চুলও!
গুরু পূর্ণিমার তাৎপর্য
এই দিনটি শুধুমাত্র গুরু পূজা নয়, বরং আত্মবিশ্লেষণ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশেরও দিন। একজন ছাত্র বা ভক্ত এই দিনটিতে প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি নিজের জ্ঞানের পথ থেকে বিচ্যুত হবেন না বা সরবেন না। আর, নিজের গুরুকে যথার্থ সম্মান দেবেন।
গুরু পূর্ণিমা পালনের উপায়
-
গুরু বা শিক্ষকের পায়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ গ্রহণ
-
গীতাপাঠ বা ধর্মগ্রন্থ পাঠ
-
উপবাস এবং ধ্যান করা
-
গুরু বা শিক্ষককে উপহার দেওয়া
-
সামাজিক ও আধ্যাত্মিক কাজে অংশগ্রহণ করা
গুরু পূর্ণিমা কেবল একটি উৎসব নয়। বরং, এটি একজন গুরু ও ছাত্রের পবিত্র বন্ধনের প্রতীক। একজন গুরু ছাড়া জীবনের অন্ধকার দূর করা সম্ভব নয়। তাই আসুন, এই পবিত্র দিনে আমরা আমাদের গুরুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং তাঁদের জ্ঞানের আলো সমাজে ছড়িয়ে দিই।