Putrada Ekadashi: উপবাস করলেই সন্তানলাভ! পড়ুন, পুত্রলাভের অলৌকিক ব্রতকথা

Putrada Ekadashi: শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী ২০২৫-এ উপবাস করলে সন্তানলাভের আশীর্বাদ মেলে। জেনে নিন এই ব্রতকথার অলৌকিক মাহাত্ম্য এবং পুণ্যলাভের উপায়।

Putrada Ekadashi: শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী ২০২৫-এ উপবাস করলে সন্তানলাভের আশীর্বাদ মেলে। জেনে নিন এই ব্রতকথার অলৌকিক মাহাত্ম্য এবং পুণ্যলাভের উপায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Putrada Ekadashi

Putrada Ekadashi: সন্তানলাভের জন্য একাদশী।

Putrada Ekadashi: শ্রাবণের পুত্রদা একাদশী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি। এই তিথিতে উপবাস করে একটি গল্প পড়লে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। সন্তান লাভের সম্ভাবনা থাকে। এমনটাই কথিত আছে। এমনিতে হিন্দু ধর্মে বছরে বা ১২ মাসে ২৪টি একাদশী পালিত হয়। তার মধ্যে একটি একাদশী পালিত হয় কৃষ্ণপক্ষে। অপরটি পালিত হয় শুক্লপক্ষে। এর মধ্যে পুত্রদা একাদশী শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে পড়ে। এবছর এই একাদশী পড়েছে ৫ আগস্ট।  

Advertisment

শ্রাবণ পুত্রদা একাদশীর ব্রতকথা

শ্রীকৃষ্ণ নিজেই অর্জুনকে এই একাদশীর গুরুত্বের কথা বলেছিলেন। এই একাদশীর গুরুত্বের কথা জানতে পেরে অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের কাছে এই একাদশীর কাহিনি জানতে চান। জবাবে শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন যে, শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর কাহিনি শুনলে অসীম যজ্ঞের সমতুল্য ফল মেলে। 

Advertisment

আরও পড়ুন- একটুকরো কলকাতা এখন জাপানের ফুকুওকায়! মাটির থালায় পাবেন করলা ভাজা থেকে পুঁইশাক, সবই

শ্রীকৃষ্ণ জানান, দ্বাপর যুগের শুরুতে মাহিষ্মতী নামে একটি নগর ছিল। রাজা ছিলেন মহীজিৎ। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় এবং ধার্মিক। কিন্তু, তাঁর কোনও সন্তান ছিল না। যে কারণে তিনি খুব বিরক্ত ছিলেন। তাঁর বার্ধক্য ঘনিয়ে আসতে দেখে রাজা তাঁর প্রজাদের প্রতিনিধিদের ডেকে জানিয়ে দেন, তাঁর কোষাগারে কোনও পাপের সম্পদ জমা হয় না। তিনি কখনও দেবতা এবং ব্রাহ্মণদের সম্পদ হরণ করেন না। তিনি কখনও কারও উত্তরাধিকার ছিনিয়ে নেননি। সর্বদা প্রজাদেরকে নিজের সন্তান হিসেবে দেখেছেন। তেমনভাবেই যত্ন নিয়েছেন। অপরাধীদেরকে সন্তান এবং ভাইয়ের মত ভেবেই শাস্তি দিয়েছেন। কারও প্রতি আলাদা ঘৃণার ভাব পোষণ করেননি। এভাবে ধর্মের পথে শাসন করার পরও তাঁর কোনও সন্তান নেই। তাই তিনি দুঃখিত বোধ করছেন। এই দুঃখের কারণ কী?

আরও পড়ুন- বিড়াল ভালোবাসেন? আঁচড়ে কী হতে পারে জানেন, শুনলে শিউড়ে উঠবেন

রাজা মহীজিতের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিরা বনে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা সাধু এবং ঋষিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেখা করেন মহাত্মা লোমশ মুনির সঙ্গে। যাঁর একটি চুল এক কল্প শেষে পড়ে যেত। সকলে গিয়ে ওই ঋষিকে প্রণাম করেন। রাজার লোকেদের দেখে লোমশ মুনি জানতে চেয়েছিলেন, তাঁরা কেন এসেছেন? প্রজারা মুনিকে কারণ জানালে মুনি চোখ বন্ধ করে রাজার পূর্বজন্মের কাহিনি জেনে নেন। তারপর মুনি জানান যে রাজা পূর্বজন্মে একজন দরিদ্র বৈশ্য ছিলেন। তিনি অনেক খারাপ কাজ করতেন। ব্যবসার জন্য এক থেকে অন্য গ্রামে যেতেন। 

আরও পড়ুন- আজ শুরু ঝুলনযাত্রা, এই উৎসবের পিছনে আছে এক বিরাট কাহিনি

একবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশীর দুপুরে তিনি ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত অবস্থায় জল পান করার জন্য একটি জলাধারে গিয়েছিলেন। সেখানে তখন নববিবাহিতা তৃষ্ণার্ত গাভী জল পান করছিল। রাজা তৃষ্ণার্ত গাভীটিতে জলপান করা থেকে আটকে নিজে জলপান করা শুরু করেন। সেই কারণেই রাজাকে পুত্র না থাকার দুঃখ ভোগ করতে হয়েছে। একথা জানার পর মহীজিতের প্রজারা লোমশ মুনির কাছে উপায় জানতে চান। জবাবে লোমশ মুনি জানিয়েছিলেন যে শ্রাবণ শুক্লপক্ষের একাদশীতে রাজার সঙ্গে প্রজাদেরও উপবাস করা উচিত। রাত্রি জাগরণ করা উচিত। তাতেই রাজার পূর্বজন্মের পাপ দূর হওয়া সম্ভব। 

আরও পড়ুন- মাত্র একচামচ নারকেল তেল আর বিটরুটেই বানান প্রাকৃতিক লিপ বাম, ঠোঁট হবে গোলাপি এবং কোমল

লোমশ মুনির এই নির্দেশ পালন করেন মহিষ্মতীর প্রজারা। তাঁরা পুত্রদা একাদশীর দিন উপবাস করেন এবং রাত্রি জাগরণ করেন। তারপরই সেই পুণ্যের প্রভাবে রানি গর্ভধারণ করেন। আর, তাঁর এক পুত্রের জন্ম হয়। তারপর থেকে শ্রাবণ শুক্লা একাদশীর নাম পুত্রদা একাদশী রাখা হয়। যাঁরা সন্তানের সুখ চান, তাঁদের এই একাদশী পালন করার রীতি চালু হয়।    

Ekadashi Putrada