যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ক’দিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও হেনস্থার অভিযোগ করলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। ফেসবুকে অগ্নিমিত্রার নামে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রের নামে লালবাজার সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী।
EXCLUSIVE: ‘মমতার সঙ্গে কেন কথা বলব? বিজেপিতে যোগ দিতে যাইনি’
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল জানান, অরিজিৎ দেবঋষি সরকার নামে এক পড়ুয়া ফেসবুকে তাঁর সম্পর্কে অশালীন পোস্ট করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই কৃতী পড়ুয়া, কৃতী বলব না দুষ্কৃতী বলব জানি না, তিনি লিখেছেন, অগ্নিমিত্রা পলের শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছি। এটা তিনি গর্বের সঙ্গে পোস্ট করেছেন। আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া দরকার’’। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে খুন করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অর্জুন সিং
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়ের পাশাপাশি যাদবপুরে বিজেপি নেত্রীকে অগ্নিমিত্রা পালকে ‘হেনস্থা’র অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাজভবনে গিয়ে এ ঘটনার রিপোর্ট রাজ্যপালকে দেন অগ্নিমিত্রা। পাশাপাশি তিনি এও জানান, যাদবপুর থানায় এ ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে কারও নামে এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর নয়া ফরমান: যাত্রী স্বাগত, কিন্তু ভারী ব্যাগ দূর হঠো
উল্লেখ্য, এবিভিপি আয়োজিত একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চরম হেনস্থা’র শিকার হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশ। পাশাপাশি তাঁকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘিরে মুহূর্তেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বাবুলের সঙ্গে পড়ুয়াদের একাংশের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বাবুল সুপ্রিয়কে থাপ্পড়, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় এবং চুলের মুঠি ধরে টানা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁর চশমা খুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ে ক্যাম্পাসে আটকে পড়েন বাবুল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাবুলকে উদ্ধার করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ওই ঘটনায় অগ্নিমিত্রা পলকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
Read the full story in English