সিইএসসি-র বিদ্যুতের বিল কেন বেশি এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কলকাতাবাসী। ক্ষোভ দেখা গিয়েছে মন্ত্রী থেকে জনতা, নেতা থেকে অভিনেতার মধ্যে। খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সিইএসি-র এই বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁর নিজের বাড়ির বিলও বেশি এসেছে বলে মনে করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এদিকে শনিবার এই বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা বিজ্ঞাপণ দিয়ে জানিয়ে দেয় তারা কোনও বাড়তি বিল নিচ্ছে না। তাতেও কিন্তু মানুষের ক্ষোভ কমেনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শনিবার ফের তাদের বলেছেন, ওই বিজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না। ব্যাখ্যা দিয়ে ফের বিজ্ঞাপণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সিইএসসি-কে।
আরও পড়ুন- করোনায় বাংলাকে দিশা দেখাচ্ছে ঝাড়গ্রাম
সাধারণ মানুষ সিইএসসি-র কাছে বিল নিয়ে জানতে চেয়েছে কেন এত টাকা বেড়ে গেল। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা বিদ্যুতের বিল বেশি হওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলছেন, "গত মাসে আমার বাড়িতে বিল এসেছে ১১,৬৫০টাকা। এই মাসে বিল এসেছে ১০,৪৭০টাকা। আমি যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি তাতে এত টাকা বিল হতে পারে না। ওদের বলেছি বিষয়টা খতিয়ে দেখতে।" টলিউড তারকা অঙ্কুশ হাজরা টুইট করে লিখেছেন, "যে ভাবে বিদ্যুতের বিল আসছে তাতে মানুষ সমস্যায় পড়ছে। ওই বিলের টাকার অঙ্ক কারও কারও কাছে একমাসের বেতনের টাকার সমান। এটা খতিয়ে দেখুক সিইএসসি।"
আরও পড়ুন- সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল বা কংগ্রেস দেখার দরকার নেই: অভিষেক
ক্ষোভ-বিক্ষোভ, বিদ্যুৎমন্ত্রীর নির্দেশের পর শনিবার বিজ্ঞাপণ দিয়ে ক্যালকাটা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন জানিয়ে দেয়, "আমরা বাড়তি চার্জ নিচ্ছি না। কোভিড সমস্যা লকডাউন পিরিয়ডে দুমাস যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছিল তার কম বিল পাঠানো হয়েছিল। এমাসের বিলের সঙ্গে গত দুমাসের অনাদায়ী যোগ করা হয়েছে। গ্রাহকরা ইচ্ছে করলে এখন ৫০ শতাংশ, পরে দুমাসে ২৫ শতাংশ করে দিতে পারে।" স্ল্যাবের সব সুবিধা বিলে দেওয়া হয়েছে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ জারি, পদ খোয়ালেন সোনা
তবে সিইএসসি-র বিলে যে মানুষ খুশি হয়নি, তা মেনে নিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওরা বলছে আমরা তিন ভাগে ভাগ করে দিচ্ছি। কিন্তু কোনও বিলে সেটা দেখা যাচ্ছে না। আমি বলাতে আজ বিজ্ঞাপণ দিয়ে জানিয়েছে। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনের পরও মানুষ খুশি হয়নি। স্ল্যাবে না পড়লে এত টাকা বিল আসত না। আমি বলেছি এটা করলে হবে না। মাস অনুযায়ী ইউনিট ভাগ করতে হবে। আমি আসল স্ল্যাব বুঝতে পারছি না। কত বেশি বিল হয়েছিল তাও বুঝতে পারছি না। স্ল্যাবের সুবিধা পেতে হবে। ফের ব্যাখ্যা করে সিইএসসি-কে জানাতে হবে।" বিদ্যুৎমন্ত্রীর সাফ কথা, "আমরাও তো মিটার 'রিড' করতে পারিনি। কোথাও তো কোনও ক্ষোভ হচ্ছে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন