কলেজে পড়তে পড়তেই জালিয়াতিতে হাত পাকাতে শুরু করেছিল ভুয়ো আইএএস পরিচয়ে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের অধ্যাপককে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। তাঁর কাছেই বাড়িতে পড়তে আসত দেবাঞ্জন।
জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বাসিন্দা ওই অধ্যাপকের বাড়িতে জুলজির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে আসত দেবাঞ্জন। কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি অভিনয়ের শখ ছিল শিক্ষকের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিনেমায় অভিনয়ের টোপ দেয় দেবাঞ্জন। সেই ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ান ওই অধ্যাপক। ২০১৩ সালে তাঁর কাছে ভর্তি হয়েছিল দেবাঞ্জন।
আরও পড়ুন “নমস্কার করে কি বিরাট কেলেঙ্কারি হয়ে গেল?” দেবাঞ্জনকে নিয়ে প্রশ্নে মেজাজ হারালেন ফিরহাদ
ওই অধ্যাপক জানিয়েছেন, টলি ইন্ডাস্ট্রির আইডি-কার্ড বানিয়ে দেওয়ার নাম করে দেবাঞ্জন আমার থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। কিন্তু সেই কার্ডও আসেনি, টাকাও ফেরত পাইনি। তাঁর দাবি, এই ভাবে আরও কয়েকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে গুণধর ছাত্র। সবার থেকে ২-আড়াই হাজার টাকা নিয়েছিল দেবাঞ্জন।
কিন্তু দেবাঞ্জন যে বড় হয়ে এত বড় জালিয়াতি করবে ভাবতে পারেননি শিক্ষক। রীতিমতো হতবাক তিনি। বলেছেন, এতটা ফেরোশাস, কলকাতার বুকে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা করে পুরসভাকে ঠকিয়ে যা করেছে তা ভাবা যায় না। ইতিমধ্যে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একাধিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক ব্যবসায়ী ৯০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন হর্ষবর্ধনকে নালিশ শুভেন্দুর, তদন্তে সিট গঠন লালবাজারের
ট্যাংরার ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার ভুয়ো প্যাড, হলোগ্রাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে দেবাঞ্জন। ট্যাংরারই আরও এক ওষুধ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে দেবাঞ্জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন