Advertisment

কালীপুজোয় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি পদক্ষেপ লালবাজারের

নিষিদ্ধ শব্দ বাজির ব্যবহার রুখতে কড়া লালবাজর। শব্দ বাজি না ফাটানোর জন্য এলাকায় এলাকায় গিয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কালীপুজো ও দীপাবলিতে শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে লালবাজার।

কালীপুজো ও দীপাবলিতে শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে লালবাজার। আলোর উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকাতে অন্যান্য বছরের মতই তৈরি কলকাতা পুলিশ। রবিবার কলকাতায় মোতায়েন থাকবে পাঁচ হাজার পুলিশ।

Advertisment

কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরে থাকবে ২১টি কুইক রেসপন্স টিম। থাকবে, সিসিটিভির নজরদারি। শহরের বিভিন্ন মোড়ে থাকবে কলকাতা পুলিশের রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। রাত ১০টার পর এই স্কোয়াডকে বেশি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবসময়ের জন্য থাকছে মোবাই পেট্রোলিং ভ্য়ান। থাকবে ট্রমা কেয়ার অ্য়াম্বুল্যান্স ও ২৭টি ওয়াচ টাওয়ার। নজরদারি চালানো হবে ২৩টি মেট্রো স্টেশনেও।

আরও পড়ুন: বৌবাজার মেট্রো বিপর্যয়ের আঁচ পড়ল ‘তাপস রায়ের কালীপুজোয়’

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গত কয়েক বছরে শহর ও সংলগ্ন অঞ্চলে শব্দ দানবের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। এবার নিষিদ্ধ শব্দ বাজির ব্যবহার রুখতে কড়া লালবাজর ও সংলগ্ন বিধাননগর কমিশনারেট। শব্দ বাজি না ফাটানোর জন্য এলাকায় এলাকায় গিয়ে সতর্ক করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এ প্রসঙ্গে লালবাজারের এক পুলিশ অফিসার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে নজরদারি করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”আইন ভাঙলে কঠিন পদক্ষেপ করবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও পাশ্ববর্তী দুই কমিশনারেট এলাকা থেকে প্রায় কুড়ি হাজার কিলো ওজনের নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

লবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সরু গলিতে গাড়ি ঢুকবে না, ফলে সেসব জায়গায় টহলদারির জন্য অটোরিকশ রাখা হচ্ছে। শহরের চারটি বড় কালী মন্দিরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। কালীঘাট, ঠনঠনিয়া, লেক কালীবাড়ি ও টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালী মন্দিরে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। কোনও অভিযোগ জানাতে হলে হেল্পলাইন হিসেবে থাকছে ১০০।

আরও পড়ুন: ভুয়ো কল সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান, লন্ডন থেকে ফোন নগরপাল অনুজ শর্মাকে

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে নজরদারিতে থাকবে ড্রোন। অতীতে শহরের উঁচু আবাসন থেকে শব্দবাজি পোড়ানোর উদাহরণ রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আবাসনে গিয়ে শব্দ বাজি না পোড়ানোর জন্য সতর্ক করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বাড়ির ছাদ সন্ধ্যা ৬টার পর বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংস্থার অধিকারিকরা আশাপ্রকাশ করে জানিয়েছেন এবার আর অতীতের প্রতিফলন ঘটবে না। রাত ১০টার পর বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

আগামী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন ঘাটে কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে বলে জাননিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে, বাদামতলা ঘাটে শেষ দিন বিসর্জন করা যাবে না।

Read the full story in English

kolkata Firecracker
Advertisment