/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/tala-1.jpg)
আগামী সপ্তাহেই ভাঙা হতে পারে বেহাল টালা ব্রিজ।
আগামী সপ্তাহেই ভাঙা হতে পারে বেহাল টালা ব্রিজ। চিৎপুর রেলইয়ার্ডের কাছে আগামী দু-তিনদিনের মধ্যেই লেভেল ক্রসিং তৈরির কাজ শুরু করবে রেল। তারপরই ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। টালা ব্রিজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র সরবরাহ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
বছরের শুরুতেই পূর্ব রেলের সদর দফতর ফেয়ারলি প্লেসে রাজ্য ও রেলের আধিকারিকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, টালা ব্রিজ ভাঙা-গড়ায় টাস্ক ফোর্স গঠন করে দ্রুত কাজ করবে রাজ্য ও রেল। রেল ও রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল। এছাড়াও টালা সেতুতে ‘কেবল ব্রিজ’ তৈরির সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকের শুরুতে ‘কেবল ব্রিজ’ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল রেল। এই প্রস্তাবে মান্যতা দেয় নবান্ন।
আরও পড়ুন: ঠিক কেমন দেখতে হতে চলেছে নতুন টালা ব্রিজ? দেখে নিন মডেল
জানা গিয়েছে, দরপত্র অনুযায়ী বরাত পাওয়া সংস্থাকে আগামী ১০ বছরের জন্য নয়া ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে। নবগঠিত টালা ব্রিজ হবে চার লেনের। এই ব্রিজ গড়তে খরচ পড়বে ২৬৮ কোটি টাকা। সরকারি সূত্রে খবর, কাজ শুরুর এক বছরের মধ্যেই গড়ে উঠবে টালা নতুন টালা ব্রিজ।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/tala-bridge-model-LEAD.jpg)
গত বছর পুজোর আগে টালা ব্রিজের বেহাল অবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসে। ৫৭ বছরে ব্রিজ মেরামতিতে তৎপর হয় রাজ্য সরকার। ওই ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ব্রিজ দিয়ে ৩ টনের বেশি ভারি পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অক্টোবরে মুম্বইয়ের বেসরকারি সংস্থা ও রাইটসের বিশেষজ্ঞরা টালা ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখেন। তাদের রিপোর্ট অনুশারে ব্রিজের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এরপরই বর্তমান টালা ব্রিজটি ভেঙে ফেলে নতুন করে তা বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলীর অন্যতম যোগসূত্র টালা ব্রিজ। কবে ভাঙা হবে অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজটি? এর আগে জানা গিয়েছিল ৩ জানুয়ারি থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। পরে জানা যায় চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে সেই কাজ হবে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে, রেলের লেভেল ক্রসিংয়ের কাজ শেষ হলেই আগামী সপ্তাহে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
Read the full story in English