যখনই তাঁর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তখনই একদা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মুকুল রায়। একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে মুকুলের। শনিবার হাওয়ালা মামলায় কালীঘাট থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মমতাকে একহাত নিলেন মুকুল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-য় একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মন্তব্য, ‘‘মমতার এই সরকারের পতন হবেই’’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে মুকুল এদিন বলেন, ‘‘বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বাংলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। রাজনৈতিক হীনমন্যতা থেকে এসব মামলা করা হচ্ছে। আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারে আগে কোনও মামলা ছিল না। মমতা আসার পর থেকে আমার নামে ৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মমতা নিজে খুনের মামলা লোপাট করেছেন। বারাসত আদালতে সেই মামলা ছিল। ইতিহাস বলছে, এই সরকারের পতন হবেই’’।
আরও পড়ুন: মুকুলদের কী বললেন দিলীপ? পিঠ চাপড়ালেন রাহুল সিনহা
উল্লেখ্য, শনিবার হাওয়ালা মামলায় মুকুল রায়কে কালীঘাট থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে মুকুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআরে বলা হয়েছে মুকুলের নাম করে এক ব্যক্তিকে ফোন করা হয় টাকার লেনদেন নিয়ে। ওই ব্যক্তি সন্দেহ করেন যে, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ফোন করা হয়েছিল। তাই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্ত হিসেবেই মুকুলকে সমন করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘ভাইপোর স্ত্রীর পদবী জানি না, জানতেও চাই না’
অন্যদিকে, বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মুকুলের। এই মামলায় মুকুলের কন্ঠস্বরের পরীক্ষাও করা হয়। এদিকে, লাভপুর হত্যা মামলাতেও অস্বস্তিতে মুকুল রায়। ২০১০ সালে লাভপুরে তিন সিপিএম সমর্থক ভাইকে খুনের ঘটনায় কিছুদিন আগে অতিরিক্ত চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল বলে খবর। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় মুকুলের বিরুদ্ধে নতুন করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিছুদিন আগে।
রেল প্রতারণার মামলাতেও নাম জড়িয়েছে মুকুল রায়ের। এই মামলায় বেহালার সরশুনা থানায় মুকুল রায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মুকুল ও আরও ৪ জনের নামে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রেল বোর্ডের সদস্য করার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন ওই বাসিন্দা।