Advertisment

টালা ব্রিজ ভাঙার আগে চিৎপুর, আর জি কর ফ্লাইওভার মেরামতির পরামর্শ

আর জি কর ব্রিজের অবস্থা মোটের উপর সন্তোষজনক হলেও চিৎপুর ব্রিজের অবস্থা তথৈবচ। চাপ বড়ালে যেকোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে। রিপোর্টে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চিৎপুর, আর জি কর ফ্লাইওভার মেরামতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

বেহাল টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে কলকাতা ও উত্তর শহরতলীর মধ্যে চলাচলকারী যানবাহনের চাপ বাড়বে আর জি কর ও চিৎপুর উড়ালপুলের উপর। তাই টালা ব্রিজ ভাঙার আগেই এই দুই উড়ালপুলে মেরামতি করতে চাইছে কেএমডিএ। পরিবহন দফতরকে চিঠি দিয়ে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভালপমেন্ট অথরিটি।

Advertisment

মাঝের হাট ব্রিট ভেঙে যাওয়ার পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। সেই কমিটির রিপোর্টেই উঠে আসে টালা ব্রিজের জীর্ণ অবস্থার কথা। ওই ব্রিজের উপর দিয়ে ভারি যান চালাচল বন্ধ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৩ টনের বেশি যান টালা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতে নিষধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে বাস সহ পণ্যবাহী যান উত্তর শহরতলি থেকে চিৎপুর বা আর জি কর উড়ালপুল বা ব্রিজ হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করছে।

আরও পড়ুন: টালা ব্রিজ ভাঙা হচ্ছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নবান্নর

গত অক্টোবরে মুম্বইয়ের বেসরকারি বিশেষজ্ঞ দল ও রাইট-এর আধিকারিকরা টালা ব্রিজ পরীক্ষা করে। তাদের রিপোর্টে বলা হয় ৫৭ বছরের প্রাচীন ব্রিজের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। এরপরই ওই ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সূত্রের খবর, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে। প্রস্তাবিত টালা ব্রিজের নকশাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে চিৎপুর বা আর জি কর ব্রিজের উপর চাপ আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন: ঠিক কেমন দেখতে হতে চলেছে নতুন টালা ব্রিজ? দেখে নিন মডেল

ইতিমধ্যেই এই দুটি উড়ালপুল পরীক্ষা করে দেখেছে বিশেজ্ঞ দল। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আর জি কর ব্রিজের অবস্থা মোটের উপর সন্তোষজনক হলেও চিৎপুর ব্রিজের অবস্থা তথৈবচ। চাপ বড়ালে যেকোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে। ওই সেতুর ভাল রকম মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে, আর জি কর ব্রিজের ভার লাঘবে বিটুমিনের আস্তরণ তুলে ফেলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাই টালা ব্রিজ ভাঙার আগে সেই পরামর্শ বাস্তবায়িত করতে চাইছেন কেএমডিএ-এর আধিকারিকরা।

কেএমডিএ-এর এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, 'টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলা হলে আর মেরামতির কাজ করা যাবে না। টালা ব্রিজ নির্মাণে কম পক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। ফলে যা করার তার আগেই করতে হবে।'

Read the fulls the in English

Bridge Collapse
Advertisment